বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলায় ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষক। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পাট বিক্রির জন্য আনছেন বিভিন্ন হাট বাজারে। ফলে ফরিয়ারা কৃষকের পাট কিনে হাটেই স্তপ করছেন। 

ফরিয়ারা জানান, এবার বিভিন্ন কোম্পানিতে পাটের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পাটের বাজার দর অনেক বেশি। জানাগেছে গতবার এ উপজেলায় কৃষক ১৬৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করলেও এবার তা কমিয়ে ১৫৮০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবার খাল বিল নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল প্রচন্ড রৌদ্র থাকায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পাটগুলো জাগ শেষে আঁশ ছাড়িয়ে শুকিয়ে ঘরে উঠিয়েছেন। যদিও বসে নেই কৃষাণিরা তাঁরাও রৌদ্রে পাটখড়ি শুকানোর কাজে ব্যস্ত। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে জো-কন্ডিশন না মেলায় পাটচাষ কম করেছেন কৃষক।

তারা আরো জানান, এ উপজেলায় পাট চাষীদের অনুমান সংখ্যা ৫ হাজারের মতন হলেও সরকারিভাবে প্রনোদনা, বিনা মুল্যে সার-বীজ দেয়া হয়েছে ১৮'শ জন কৃষককে। যদিও কৃষক বলছে ভিন্ন কথা তাদের মতে নিয়মিত দেখা মিলেনা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সেই সাথে প্রনোদনা বাড়ানোর দাবি তাদের।

এদিকে এউপজেলায় উৎপাদিত পাটের বেশ বড় অংশ আসে তেকানী চুকাইনগর ও পাকুল্লা এলাকা চরাঞ্চল থেকে। পাকুল্যার কৃষক আজাদুল প্রতিবেদককে জানান এবার আমি সহ অনেকেই পাট চাষ করেছেন। বর্তমান পাটের প্রতি মন ৩৫'শ থেকে ৩৮'শ টাকা। একদিকে পাট থেকে যেমন বেশ ভালো মুনাফা আসবে অন্যদিকে পাটখড়িও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব মিলিয়ে আমরা দারুন খুশি বলে জানান এই কৃষক।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা দীপ্তি রানী রায় বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে প্রবাহমান জলের পরিমাণ ভালো থাকায় কৃষকেরা স্বস্তিতে পাট জাগ দিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এবার ১৫৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন উপজেলার কৃষক। ফলে উৎপাদিত পাটের পরিমাণ ৪ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন। এতে করে প্রায় ৩৬ কোটি টাকার পাট বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে। সেই সাথে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাট উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পলিথিনের পরিবর্তে পাট জাতীয় পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

(বিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৫)