শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ইসলামি শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে যশোরে মানববন্ধন

যশোর প্রতিনিধি : শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সকল স্তরে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে যশোরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফোরামের জেলা শাখা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এই কর্মসূচিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। এর ফলে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় বাড়ছে। খুন, ধর্ষণ, মাদকাসক্তি এবং সন্ত্রাসের মতো অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে নৈতিক শিক্ষার অনুপস্থিতিকেই তারা প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, এই অবক্ষয় থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা জরুরি।
বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক মারুফুর রহমান শেখ মানববন্ধনে তাদের প্রধান দাবিগুলো তুলে ধরেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশের সকল বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।
এছাড়া, ব্র্যাক স্কুল, মেডিকেল, প্রকৌশলসহ সকল কোর্সে ১০০ নম্বরের একটি বিষয় হিসেবে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পৃথকভাবে ১০০ নম্বরের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। দেশের সকল স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় ও বিভাগ চালু করার দাবিও করা হয়।
এছাড়া, প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ, ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ এবং সামরিক, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১০০ নম্বরের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে। মসজিদভিত্তিক মক্তবগুলোতে ইসলামিক স্টাডিজের আওতায় আরবি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিও উত্থাপন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান ফারুক, ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান এবং সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস)-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবু সাঈদসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষকরা।
(এসএ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫)