ফরিদপুরে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা
‘এ জয় তোমাদের একার জয় নয়, এ আনন্দ তোমাদের একার আনন্দ নয়’

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো শিখো-প্রথম আলো জিপিএ–৫ সংবর্ধনা। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ অর্জনকারী সাড়ে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে এই সংবর্ধনা জানানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাট্য গবেষক ও লেখক বিপ্লব বালা বলেন, “এ জয় তোমাদের একার জয় নয়, এ আনন্দও তোমাদের একার আনন্দ নয়। এই সাফল্যের পেছনে যাঁরা পরিশ্রম করেছেন, তাঁদেরও কৃতিত্ব রয়েছে। তাই এর যথার্থ মূল্য দিতে হবে এবং নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।”
ঢাকা থেকে আগত প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, “সফল হওয়াই শেষ কথা নয়, সার্থক হওয়াটাই বড় কথা। যেমন নারকেল গাছ রোপণকারী নিজে ফল খেতে না পারলেও পরের প্রজন্ম সেই ফল খায়— এটাই প্রকৃত সার্থকতা।” তিনি শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলতাফ হোসেন বলেন, “আজকের এ সংবর্ধনা আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। তোমাদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা— আরও বড় হও, উচ্চশিক্ষিত হও এবং মানুষের মতো মানুষ হও।”
সনাক ফরিদপুরের সভাপতি শিপ্রা রায় বলেন, “তোমরা থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, তোমরা জিতলে বাংলাদেশ জিতবে। শুধু পাস করলেই চলবে না, হতে হবে আলোকিত মানুষ।”
ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানুষের মতো মানুষ হতে হলে তিনটি ‘সি’-র দিকে নজর দিতে হবে— কালচার, কমিটমেন্ট ও কমিউনিকেশন।
চরমাধবদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঈশিতা আক্তার জানান, মোবাইল ফোন তাকে শিখো প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করেছে, যার মাধ্যমে তিনি পড়াশোনায় সাফল্য পেয়েছেন। আর ডি একাডেমীর বিলাসচন্দ্র সরকার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ভালো ফলাফলের মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছি। জীবনের প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”
সকাল থেকেই নয়টি উপজেলা থেকে আগত কৃতী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কেউ ব্যস্ত ছিল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়, কেউ আবার সেলফি তুলতে, কারও চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা। নৃত্য পরিবেশন করে ফরিদপুর আনন্দধারা নৃত্য একাডেমি। হরবোলা পরিবেশন করেন আব্দুস সবুর মোল্লা ওরফে গামছা কাজল। মনোমুগ্ধকর ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঢাকা থেকে আগত শিল্পী মিঠুন রায়।
“স্বপ্ন দেখো, জীবন গড়ো” প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে প্রথম আলো ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখো। এ আয়োজনে পাওয়ার্ড বাই কনকা–গ্রি এবং সহযোগিতায় রয়েছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, আকিজ টেলিকম, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস, আম্বার আইটি, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
(ডিসি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫)