প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট : কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ছিনাইয়ে জয়কুমোর গ্রামে গৃহহীন ভূমহিীন ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। সরকারীভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ঘর ছেড়ে চলে গেছে। ছেড়ে যাওয়া ওই ঘরগুলোতে এখন ঝুলছে তালা।

আশ্রণের অনেক বাসন্দিা তালা ভেঙ্গে শূন্য ঘর গুলোতে কেউ গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছে আবার কেউ গরু ছাগল পালন করছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের বেশকিছু ঘরের জানালা দরজা খুলে নিয়ে গেছে। বর্তমানে ছেড়ে যাওয়া ঘরগুলোতে নতুন উপকারভোগী অনুমোদন না দেওয়ায় ঘরগুলো নষ্ট হয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে।

৩ বছর আগে ঘরের উপকার ভোগীদের ঘরের চাবি কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান, ডিসিআরসহ যাবতীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করে রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন। হস্তান্তরের কয়েক মাস পেরিয়ে যেতে না যেতেই একের পর এক পরবিারগুলো আশ্রয়ণ ছেড়ে চলে গেছেন। এসব ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে স্বল্প মুল্যের কাঠ ও টিন। দরজা, জানালাগুলো খুলে নিয়ে গেছে। ইটের গাঁথুনিতে সিমেন্ট বালুর পরিমাণ কম থাকায় দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।

মাটি ভরাট করে ঘরের ভিটা উঁচু না করায় নিচু জমিতে এই ঘরগুলি তৈরী করায় সামান্য বৃষ্টিতে আশ্রয়ণে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাল হচ্ছে আশ্রয়নে থাকা মানুষেরা। গৃহ সমতল হওয়ায় সামান্য পানি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মলমুত্র ত্যাগের ট্যাংকি ভরাট হয়ে বের হচ্ছে র্দুগন্ধ। এতে পানি বাহিত বিভিন্ন ধরনরে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আশ্রয়ানের মানুষরা। দেখ ভাল না থাকার কারণে চুরি হয়ে যাচ্ছে ঘররে দরজা জানালা।

জয়কুমোর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসকারী আলম ও বাদশা জানান- আশ্রয়ণ প্রকল্পরে ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেও এখন দুর্ভোগের শেষ নেই। ঘরে বসবাসে নানা অসুবিধা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাদা পানিতে একাকার হওয়ায় প্রকল্প এলাকার ঘরে এবং বাহিরে পানি জমে থাকে। এ সময় চলাচলে খুব কষ্ট হয়। ভুমিহীন জয়নাল আবেদীন, হযরত আলী বলেন-আমাদের বাড়ি ঘর ধরলা নদীতে ভেঙ্গে গেছে। মানুষের বাড়িতে থাকি। সরকার আবাসনে মানুষকে যে ঘর দিয়েছে অনেকে তা থাকে না। তারা অন্য জায়গায় অথবা নিজ বাড়িতে থাকে। আমার ঘর নাই একটা যদি ব্য্যবস্থা করে দিতো তাহলে ভালো হতো।

ছিনাই ইউনিয়েনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান জানান- আবাসনে গরীব দুঃখী মানুষ বসবাস করে। অনেকে কাজের জন্য ঢাকা যায়। তারা দীর্ঘদিন না থাকায় টিন ও টিউবয়েল নষ্ট হয়ে যায়। তারা বাড়িতে এসে বিপাকে পড়ে। সরকার যদি মেরামত করে দেয় এ মানুষগুলি ভালো থাকবে।

(পিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫)