ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : চলছে সড়ক সংস্কার। তাতে যোগ দিয়েছেন গ্রামের সকল বয়সী মানুষ। কেউ ইট এগিয়ে দিচ্ছেন, কেউ হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙছেন, আবার কেউ বালি ছিটাচ্ছেন। এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটির ভাঙা অংশ সংস্কার করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের অংশে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে একবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। একাধিক স্থানে খানাখন্দে ভরা সড়কে ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল সহ কোন যানবাহন চলার পরিবেশ নেই। ভাঙা সড়কে গ্রামের কৃষকদের কৃষিপণ্য বহন করতেও বেগ পেতে হয়।

শৈলকুূপা উপজেলা শহরে যাবার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির এমন বেহাল দশায় ভোগান্তির শেষ ছিলনা কয়েক গ্রামের মানুষের। সড়কটি দিয়ে নাগিরাট, দামুকদিয়া, মনোহরপুর সহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। মানুষের দূর্ভোগের খবর পেয়ে রাস্তাটি মেরামত করার উদ্যোগ নেন মনোহরপুর ইউনিয়নের সন্তান আবু জাহিদ চৌধুরী। তিনি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয়দের সাথে নিয়ে লক্ষীপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ভাঙাচোরা রাস্তা সংস্কার করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে থাকা সড়কটি সংস্কার করায় খুশি স্থানীয়রা।

তুহিন হোসেন নামে সড়কে চলাচলকারী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে ছিলাম। এখন নতুন করে সংস্কার হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা বকুল মোল্লা বলেন, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙা থাকায় ভ্যান, ইজিবাইজ, মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন ঠিকমতো চলতে পারত না। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটতো। এখন আর দুর্ঘটনা ঘটবে না।’

ভ্যানচালক আশা বলেন, অনেকদিনের দাবি পূরণ হলো। এখন আর এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হবেনা।

বিএনপি নেতা আবু জাহিদ চৌধুরি বলেন, সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ অনেকদিন ধরে দেখছি। কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে গ্রামবাসীদের নিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। সামনের দিনেও এই ধরণের কাজ অব্যাহত থাকবে।

(এসআই/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫)