জেলা-উপজেলায় সরকারি অফিসে বিক্ষোভ, অবস্থান ধর্মঘট
বাগেরহাটে সোম, মঙ্গল ও বুধবার হরতাল, মহাসড়ক অবরোধ
.jpg)
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলার চারটি আসন বহালের দাবিতে জেলা-উপজেলা, নির্বাচন অফিসসহ সব সরকারি অফিসে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে বিএনপি জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা জেলা সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যলয় ও নির্বাচন অফিসসহ সব সরকারি অফিস ঘেরাও করে প্রধান ফটকে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করে অফিসগুলোর দাপ্তরিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়। এসময়ে তারা বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিসহ আগামীকাল সোমবার জেলাজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা পূর্ণ দিবস হরতাল, মঙ্গল ও বুধবার দুইদিন অর্ধদিবস হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের পক্ষে নানা শ্লোগান দেয় অবস্থান ধর্মঘটকারীরা। এই বিক্ষোভ ও অবস্থান ও ধর্মঘট কর্মসূচি জেলা শহরে বাগেরহাট ছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলায়ও একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, নির্বাচন অফিসসহ সব সরকারি অফিসের সামনে অবস্থান নেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলা সদরে এই কর্মসূচি পালন করা হরেও উপজেলাগুলোতে এই কর্মসূচি চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বাগেরহাট শহরে সরকারি বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে ান্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামাতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন জেলার চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি কমানোসহ সীমানা পরিবর্তনে বাগেরহাটবাসী কোনো ভাবেই মেনে নেবে না। এ দাবি আদায়ে আগামী কাল আগামীকাল সোমবার জেলাজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা পূর্ণ দিবস হরতাল, মঙ্গল ও বুধবার জেলাজুড়ে দুইদিন অর্ধদিবস হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এরমধ্যে সংসদীয় আসন পূর্ণবহালের দাবি মানা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। এবিষয়টি নিয়ে অচিরেই উচ্চ আদালতে রিটও করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত এই চুড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাট- ২ সদর আসনটি কেটে বাগেরহাট- ১ ও বাগেরহাট-৩ আসনের সাথে যুক্ত করাসহ ৩টি আসনের সাথে নতুন-নতুন উপজেলাকে সংযুক্ত করে দেয়া হয়। চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাট- ১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী- মোল্লাহাট), বাগেরহাট- ২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট- ৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) সংসদীয় আসন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের সীমানা সীমানা ছিল বাগেরহাট- ১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট- ২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট- ৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫)