রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামস্ সাদাত মাহমুদ উল্লাহ এর বিরুদ্ধে ভাইয়েদের মধ্যে রাস্তার জমি নিয়ে চলা বিরোধের প্রতিবেদন তৈরিতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।

এমন অভিযোগ তুলে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের মধ্যে ভিটি গ্রামের মো: আবু তালেব মন্ডল আদালতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাঠানো প্রতিবেদনে না-রাজি দেয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুনরায় প্রতিবেদন তৈরির জন্য ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।

এর প্রেক্ষিতে সাওরাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সরেজমিনে তদন্তে জন্য মামলার বাদী ও বিবাদী কে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মূল কাগজপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর নালিশি জমিতে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ করে। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর হস্তক্ষেপে নোটিশ করেও নালিশি জমিতে আসেন নাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে সাওরাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আমি বৃহস্পতিবার সকালে এসিল্যান্ড স্যারের সাথে দেখা করলে তিনি যেতে নিষেধ করে। তিনি এই প্রতিবেদককে এসিল্যান্ড এর সাথে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামস্ সাদাত মাহমুদ উল্লাহ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, আদালতে এক বার প্রতিবেদন পাঠানোর হয়েছে। আবারও আদালত প্রতিবেদন চেয়েছে স্কেচসহ। যেহেতু প্রতিবেদন করায় আছে তাই একটা স্কেচ তৈরি করতে হবে। এর জন্য ঘটনা স্থলে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। তাহলে কি কারণে বাদী ও বিবাদী কে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মূল কাগজপত্র সহ নালিশি জমিতে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুল করে নোটিশ করা হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো: শহিদুল ইসলাম নান্নু ও বিবাদী মো: আবু তালেব মন্ডল সম্পর্কে চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে মামলার বাদী ও তার আপন ভাই মামলার বিবাদীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কয়েকমাস আগে বিবাদী তার নতুন ঘরের দক্ষিণ পাশে টয়লেট করতে গেলে বাদী লোকজন নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। বিবাদী তার আপন ভাইয়েদের সাথে কথা বলে বাদীদের বাড়ির সামনে দিয়ে নতুন করে রাস্তা করে নিতে পুকুর ভরাট করে দেয়।

এ বিষয়ে মামলার বিবাদী মো: আবু তালেব মন্ডল বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে নোটিশ করেও ঘটনা স্থলে কেউ আশে নাই।এর আগে এসিল্যান্ড এসেছিলো। তিনি পরে আদালতে প্রতিবেদন পাঠায়।সেখানে উল্লেখ্য করে রাস্তা দিয়ে ২০ টি পরিবার যাতায়াত করে। প্রকৃতপক্ষে মাত্র দুটি পরিবার এই রাস্তা ব্যবহার করে। মামলার বাদী আর তার ভাই। অথচ তাদের বাড়ি থেকে সোজা রাস্তা করা যায়।কয়েক হাজার টাকার মাটি ফেলে।তারা মুলত আমার সাথে ঝামেলা করার জন্য মামলা দিয়েছে। আর এসিল্যান্ড এখানে পক্ষপাতিত্ব করছে।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫)