‘ইউরোপের প্রতিনিধিরা পিআরের কথা সহজেই বুঝতে পেরেছেন’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমরা পিআর চাই উভয় কক্ষে। অধিকাংশ মানুষ পিআরের পক্ষে। ইউরোপের প্রতিনিধিরাও বলেছেন, তাদের দেশেও পিআর সিস্টেম রয়েছে। তারা আমাদের কথা সহজেই বুঝতে পেরেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, কীভাবে হবে- এসব বিষয়েই মূলত তারা জানতে চেয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়াদ বাড়ালেই যে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে তা আমি মনে করি না। ঐকমত্যে পৌঁছাতে এক ঘণ্টাও যথেষ্ট। তারপরেও সময় বাড়ানো হয়েছে। এর দুটি কারণ হতে পারে- একটি, আন্তরিকভাবে আরও কিছু বের হয় কি না তা দেখা। কিন্তু আমি সন্দেহ করি, এটা সময় নষ্ট করার কৌশল। এখন মানুষের মধ্যেও এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জাকসুর ক্ষেত্রে দেখা গেছে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফল ঘোষণা দেয়নি। সবার চোখের সামনে ছিল বলেই ফল ওল্টাতে পারেনি। কিন্তু মানসিকতা তো রয়ে গেছে ফল উল্টে দেওয়ার। জাতীয় নির্বাচনেও এমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা বলেছি পিআর সিস্টেম হলে এককভাবে কোনো প্রার্থী কোনো এলাকায় দাঁড়াবে না এবং কেন্দ্র দখলের আগ্রহ হারাবে। এজন্য অন্তত একবার পরীক্ষামূলকভাবে পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চাই। ভালো না হলে, পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করা যাবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে দুই-তিন মাস ধরে কনসেনসাস কমিটির সঙ্গে কাজ করছি। আমরা ঐকমত্যেও পৌঁছেছি। এটিকে আইনি ভিত্তি দেওয়া এখন কেবল একটি সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা দেখছি এক মাস ঘুরে ফিরে আবার এক মাস পিছিয়ে গেছি। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। এর ফলে আরও একটি মূল্যবান মাস চলে গেছে।
এর আগে বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবং আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন দলের সভাপতি মুনির সাতৌরী, লুক্সেমবার্গের (ইপিপি) ইসাবেলা ভিয়েডার-লিমা, পোল্যান্ডের (ইসিআর) আরকাদিউস মুলারচিক, এস্তোনিয়ার (রিনিউ ইউরোপ) উর্মাস পায়েট, নেদারল্যান্ডসের (দ্য গ্রিন্স) কাতারিনা ভিয়েইরাসহ আরও অনেকে।
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫)