মাদারীপুরে দেড়মাস পর কবর থেকে ঠিকাদারের লাশ উত্তোলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি : আদালতের নির্দেশে মাদারীপুরে দেড় মাস পর কবর থেকে ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের (৪৫) লাশ তোলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর পৌর কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়।
নিহত সৈয়দ তুহিন হাসান মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হোসেনের বড় ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকায় থাকতেন।
পারিবারিক, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসান মাদারীপুর শহরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে যান। সেখানে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেন। পরে কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে ফেরার সময় ভবন থেকে পড়ে যান। এতে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারকে জানানো হয়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্বাভাবিক মনে করে লাশ দাফন করেন। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পূর্ব শত্রুতার জেরে তুহিনের সাথে থাকা দেড় লাখ টাকা লুট করে নির্মানাধীন ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ৬ আগস্ট মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হোসেন বাদী হয়ে ধলু মোল্লাসহ ৭ জনের নামে হত্যা মামলার আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক শুনানী শেষে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুমের নেতৃত্বে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত তুহিনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকান্ডের ঘটনার বিচার চাই।
তুহিনের ছোটভাই তুষার হাসান বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুটি প্রথমে স্বাভাবিক মনে হয়। পরে খোজ খবর নিয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হই। তাই আদালতে মামলা করা হয়। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের কঠিন বিচার চাই।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বলেন, আদালতের নির্দেশে সৈয়দ তুহিন হাসানের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(এএসএ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫)