চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবি
বাগেরহাটে ১০টি নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট, আরো তিন দিনের নতুন কর্মসূচি
.jpg)
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে পঞ্চমদিনের মতো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
আজ সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি জামায়াতসহ সংগঠনটির সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এর আগে তারা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
জেলার ৯টি উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনেও অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি জামায়াতসহ সংগঠনটির সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। ফলে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে আধাবেলা বন্ধ থাকে জেলা সব নির্বাচন অফিসের দৈনন্দিক কর্মকান্ডসহ নাগরিক সেবা।
এদিকে একই দাবি আদায়ে মঙ্গলবার জেলাব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু ও বুধ-বৃহস্পতিবার দুইদিন জেলা-উপজেলার ১০টি নির্বাচন অফিসের সামনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দুর্গাপূজার কারণে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত রাখা হলেও এখন থেকে জেলার সব নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ ও জেলাব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অব্যাহত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে দুর্গা পূজার পর লাগাতর হরতাল মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিএনপি জামায়ত এনসিপিসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আন্দোলন শুরু করে। চার সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে তারা নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নিলেও ৪ সেপ্টেম্বর ইসির প্রস্তাবিত সীমানা সম্পূর্ন পাল্টে দিয়ে তিনটি আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এরপর থেকে বিএনপি, জামায়তসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, সকাল-সন্ধ্য হরতাল, মহাসড়ক আবরোধ, জেলার সব সরকারি অফিস বন্ধ, সব নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে জেলাব্যাপী লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট-১(মোল্লাহাট-ফকিরহাট-চিতলমারী), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নামে জেলায় চারটি সংসদীয় আসন থাকলেও ইসি বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি আসন কমিয়ে ৩টি করার গ্রেজেট প্রকাশ করে। চুড়ান্ত গেজেট বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নামে তিনটি সংসদীয় আসনে বিন্যাস করা হয়।
(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫)