সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : সুন্দরবন থেকে কীটনাশকসহ জেলে নামধারী পাঁচ বিষদস্যুকে আটক করেছেন বনরক্ষীরা। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান চাঠিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। 

আটক বিষদস্যুদের কাছ থেকে ৭ বোতল রিপকর্ড কীটনাশক, ২টি নৌকা, ২টি জাল ও বিষ দিয়ে আহরণ করা ৪০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। আটক বিষদস্যুরা হলেন, খলিল, আলামীন. জাহিদ, বাবুল হাওলাদার ও ইব্রাহীম বেপারী। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা ও রায়েন্দা গ্রামে। সোমবার দুপুরে আটক বিষদস্যুদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজউল করিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরবনের সুপতি স্টেশনের বনরক্ষীরা বেতমোর সাইড খালে অভিযান চালিয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার সময় খলিল, আলামীন ও জাহিদ নামে তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুই বোতল রিপকর্ড, ৪০ কেজি চিংড়ি ও একটি জাল জব্দ করা হয়। শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমানের নেতৃতে বনরক্ষীরা বনের ২ নম্বর কম্পার্টমেন্টের দুধমুখী ডলফিন অভয়ারণ্য এলাকার ভাইজোড়া খালে অভিযান চালিয়ে বাবুল হাওরাদার ও ইব্রাহীম বেপারীকে আকট করেন। এসময় বিষদস্যু দলের আরো চার সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এদের কাছ খেকে পাঁচ বোতল রিপকর্ড, দুটি নৌকা ও একটি চরপাটা জাল জব্দ করা হয়। আটক বিষদস্যুদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা ও রায়েন্দা গ্রামে।

আজ সোমবার দুপুরে আটক বিষদস্যুদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে জীববৈচিত্র্য বিপন্নকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। বিষদস্যুরা ইদানিং এতো বাড় বেড়েছে যে, এদেরকে প্রতিহত করতে এখন সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫)