বাংলাদেশ খেলনা শিল্প রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে খেলনা শিল্প রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে তা দেশের রপ্তানি বৈচিত্র্য আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি এটি নারী কর্মসংস্থান ও টেকসই অর্থনীতির ভবিষ্যতেও বড় ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে ‘রপ্তানি খাতের বৈচিত্র্য: খেলনা শিল্পের উদ্ভাবন, রপ্তানি সম্ভাবনা ও বাজার সম্প্রসারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস (পলিসি ও আইসিটি) সদস্য মোহাম্মদ মুবিনুল কবির, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডসন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি ও জলালাবাদ পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ। এছাড়াও ব্যবসায়ী নেতা, ডিসিসিআই এর সদস্য এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ৮৮টি দেশে প্রায় ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের খেলনা রপ্তানি করছে। বর্তমানে ১৪৭টির বেশি কারখানা এ খাতে জড়িত, যেখানে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী। স্থানীয়ভাবে খেলনা শিল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক খেলনা বাজার ২০২৩ সালে ১০২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০৩২ সালে ১৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। চীন ধীরে ধীরে কম খরচের খেলনা উৎপাদন থেকে সরে আসছে, ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
তবে এ শিল্পকে টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে কাঁচামালের উচ্চ শুল্ক, আমদানি-নির্ভর প্যাকেজিং, জটিল বিধিনিষেধ এবং লাইসেন্সকৃত খেলনা বাজারে সীমিত প্রবেশাধিকার।
এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় পরীক্ষাগার স্থাপন, ডিজাইন ট্রেনিং, বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সহায়তা, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন এবং নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য দূতাবাস ও বাণিজ্য মিশনের উদ্যোগের ওপর জোর দেন তিনি।
এ সময় তাসকীন আহমেদ বলেন, খেলনা শিল্প কেবল রপ্তানি বৈচিত্র্যে অবদান রাখবে না, বরং নারী কর্মসংস্থান ও টেকসই অর্থনীতির ভবিষ্যতেও বড় ভূমিকা রাখবে।
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫)