সালথায় ১০ একর জমিতে দেশিয় পাট বীজের আবাদ

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দেশিয় পাটের বীজ উৎপাদণের লক্ষে ১০ একর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে নাবী পাটের বীজ উৎপাদনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন কযেকজন পাটচাষি। তারমধ্যে কৃষি উদ্যাক্তা মুক্তার মোল্যা অন্যতম। তিনি প্রতিবছর নাবী পাটের আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। সেই সাথে পাটের শাক বিক্রি করে আয় করছেন হাজার হাজার টাকা।
এ বছর উপজেলায় ১০ একর জমিতে নাবী পাটবীজের আবাদ করেছেন ৯৩জন পাটচাষি।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বীজের ফলন ভালো হবে বলে উপজেলা পাট অফিস সুত্রে জানা গেছে।
পাটচাষি মোস্তফা, হাফিজুর ও জাহাঙ্গীর মোল্যা বলেন, এবছর পরীক্ষামুলক নাবী পাটবীজ উৎপাদণের লক্ষে জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আশা করছি এবারও বীজের ফলন ভালো হবে। তাহলে আগামীতে আমরা আরো বেশি করে আবাদ করবো।
কৃষি উদ্যােক্তা মুক্তার হোসেন মোল্যা বলেন, ভারতের বীজ দিয়ে পাট চাষ করতে হয় আমাদের। আমি পাঁচ বছর ধরে পাটের বীজ উৎপাদণ করে আসছি। এবারও এক একর জমিতে পাটের বীজের আবাদ করেছি। প্রতিদিন পাটের শাক বাজারে বিক্রি করছি। বর্তমানে পাট গাছের গঠন অনেক ভালো আছে। আশা করছি ডিসেম্বার মাসে ঘরে আসবে পাটের বীজ। তিনি সবাইকে দেশিয় পাটের বীজ উৎপাদণে আহ্বান জানান।
উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রদায়ের প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় এই প্রথম নাবী পাটবীজ উৎপাদন প্রকল্প দিয়েছেন পাট অধিদপ্তর। এ বছর ১০ একর এর জন্য নাবী পাটবীজ বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু রাসায়নিক সারের কোন বরাদ্দ না থাকায় কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে ৯৩ জন কৃষক এর মাঝে ১০ একর জমিতে নাবী পাটবীজ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে রামকান্তপুর ইউনিয়ন এর কৃষক মোক্তার মোল্য ১ একর, মোস্তফা ১০ শতাংশ, হাফিজুর ২০ শতাংশ ও জাহাঙ্গীর মোল্য ১৫ শতাংশ জমিতে নাবী পাটবীজ বপন করেন।ইতিমধ্যে মোক্তার মোল্যা চারা পাতলা করে দৈনিক ৫০০ টাকা করে পাটশাক বিক্রি করে লাভ করতেছেন। পাটশাক বিক্রি করে প্রতিদিন হাতে টাকা পেয়ে কৃষক খুবই খুশি।
(এএনএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫)