ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


শনিবার বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবস উদযাপিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য হলো – “টেকসই রূপান্তরের জন্য পর্যটন”। বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) এই দিবসটি উদযাপন করে পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং টেকসই উন্নয়নে পর্যটনের অবদান বোঝাতে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় এগোয়নি।

পর্যটন শুধু বিনোদন নয়; এটি দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে।

বৈশ্বিক পর্যটনের প্রেক্ষাপট

১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পর্যটন শাখার বার্ষিক সম্মেলনের পর সংস্থার নামকরণ ও কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে এটি নতুন নামে কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

বর্তমানে বৈশ্বিক পর্যটকের সংখ্যা ১৪০ কোটিরও বেশি, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ২০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পর্যটন খাত সরাসরি ও পরোক্ষভাবে কোটি কোটি মানুষকে কর্মসংস্থানে যুক্ত করেছে। বিশ্বের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ পর্যটন খাতে জড়িত, অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনকে কোনো না কোনোভাবে পর্যটন শিল্প নিয়ন্ত্রণ করছে।

এশিয়ার পর্যটক অংশীদারিত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা এখনও পিছিয়ে। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুত এগোনো সম্ভব।

বিনোদন এবং অর্থনীতির পাশাপাশি পর্যটন আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে দেশের অবস্থান ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি পর্যটকরা শুধু দেশ দেখেই না, তারা দেশকে বহির্বিশ্বে পরিচিতি এবং সম্ভাব্য বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগও আনেন।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় পরিবেশ, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ।

* পাহাড় ও চা বাগান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ি বন, চা বাগান পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ দেয়। জাফলং, কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকা, সাজেক ভ্যালি এবং বান্দরবান-রাঙামাটির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য পর্যটকদের জন্য এক অনন্য আকর্ষণ।

* নদী ও হাওর: হাওরাঞ্চল ও নদী ভ্রমণ বাংলাদেশের এক অনন্য পর্যটন সম্ভাবনা প্রদান করে। তাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, কুশিয়ারা নদী এবং সুনামগঞ্জের বিভিন্ন জলাশয় পর্যটকদের প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের সুযোগ দেয়।

* সমুদ্র সৈকত: কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা, মহেশখালী ও টেকনাফ। কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, যা পর্যটন শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা রাখে।

* বন ও জীববৈচিত্র্য: সুন্দরবন, হিজল-তমাল বন, হাওরাঞ্চল এবং পাহাড়ি বনাঞ্চল পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ম্যানগ্রোভ বন, বিভিন্ন জলজ প্রাণী এবং বন্যপ্রাণী পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

* ঐতিহাসিক নিদর্শন: পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, ময়নামতি বিহার, লালবাগ দুর্গ, বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও গির্জা। এই স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি প্রমাণ করে।

* লোকসংস্কৃতি ও জীবনধারা: পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী জীবনধারা, গ্রামীণ ঐতিহ্য, বাউলসংগীত, হাটবাজার, মেলা, কৃষক-কৃষাণির সংগ্রামী জীবন। আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে আগ্রহী।

সঠিক ব্যবহার, উন্নয়ন এবং প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

সম্ভাবনাময় খাতসমূহ

নৌ পর্যটন

বাংলাদেশের নদী ও জলভূমি পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাঙামাটি, কাপ্তাই, বান্দরবান, খুলনা, বাগেরহাট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে নৌ পর্যটন জনপ্রিয়তা পেতে পারে। শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ সহজ করতে খাল কেটে নদী ও সাগরের পানি শহরের মধ্যে আনা হয়েছে।

ভারতের কেরালা, জম্মু-কাশ্মির, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসে নৌ পর্যটন অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশের নৌ পর্যটন যদি সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও মানসম্মত পরিষেবা নিশ্চিত করে, তাহলে এটি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম।

নৌ পর্যটন ব্যবস্থাপনায় পর্যটকের নিরাপত্তা, প্যাকেজ ট্যুর, নৌযান পরিসেবা এবং স্থানীয় গাইডদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের পর্যটন মান বৃদ্ধি সম্ভব।

হাওরাঞ্চল পর্যটন

হাওরাঞ্চল শীতকালীন অতিথি পাখি, বর্ষার ছোট দ্বীপ এবং সংস্কৃতিমূলক সমৃদ্ধির জন্য বিখ্যাত। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা বিমোহিত হয়েছেন।

হাওরের শীত-বর্ষায় অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য, হিজল-তমাল বন, পাখি বিচরণ পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওর পর্যটন সম্ভাবনা রাখে।

সুষ্ঠু পরিকল্পনায় পর্যটকদের থাকার, খাওয়ার এবং নিরাপত্তার সুব্যবস্থা করা সম্ভব। হাওরাঞ্চলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ রাস্তা, ডুবু সড়ক, তিন চাকার মোটরবাইকসহ পরিবহন ব্যবস্থা প্রয়োজন।

স্পোর্টস ট্যুরিজম

বাংলাদেশের গ্রামীণ ক্রীড়া যেমন নৌকাবাইচ, হা-ডু-ডু, লাঠিখেলা, বলী খেলা আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। এশিয়ায় ক্রীড়া পর্যটনে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এগিয়ে আছে।

বাংলাদেশ যদি স্পোর্টস ট্যুরিজমের সঙ্গে ক্রীড়াকে যুক্ত করে, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। গ্রামীণ ক্রীড়াকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের অংশ হিসেবে প্রচার করা গেলে দেশের পর্যটন খাতে নতুন অর্থনৈতিক প্রবাহ সৃষ্টি হবে।

ইসলামিক পর্যটন

বাংলাদেশে ধর্মীয় পর্যটনের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বিশ্ব ইজতেমা ইত্যাদি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ইরানের তাবরিজ শহরকে ২০১৮ সালে ইসলামিক পর্যটন রাজধানী ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশের উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশও ইসলামিক পর্যটন সম্প্রসারিত করতে পারে। ইসলামী ইতিহাস, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও আধ্যাত্মিক ভ্রমণ দেশের পর্যটন শিল্পকে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে সক্ষম।

পরিবেশবান্ধব পর্যটন

পর্যটনের টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব পর্যটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* সুন্দরবন, হাওর, নদী ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ

* দূষণমুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখা

* জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা

* আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণ

পরিবেশবান্ধব পর্যটন শুধু অর্থনৈতিক নয়, দেশের প্রাকৃতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

কক্সবাজার ও সমুদ্র সৈকত পর্যটন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত (প্রায় ১২০ কিমি), যা আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

* আন্তর্জাতিক আকর্ষণ: সোনালি বালি, নীল সমুদ্র, পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য

* অর্থনৈতিক সম্ভাবনা: পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব

* পর্যটন কার্যক্রম: সাঁতার, বোট রাইড, ওয়াটার স্পোর্টস, সার্ফিং, সৈকত রিসোর্ট

* অন্যান্য সৈকত: সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা, মহেশখালী, টেকনাফ ও নিঝুম দ্বীপ

সঠিক অবকাঠামো, হোটেল, পরিবহন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে এই সৈকতগুলো আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আন্তর্জাতিক তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান

মুন্ডি ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৮৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। এশিয়ার ৪৬ দেশের মধ্যে ৪২তম। দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।

দেশের পর্যটক ধরে রাখা এবং বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে এখনও উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল তুলনামূলকভাবে বেশি আয় করছে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতে আয় প্রায় ৭৬.১৯ মিলিয়ন ডলার, যেখানে ভারতের আয় ১০,৭২৯ মিলিয়ন ডলার।

চ্যালেঞ্জ ও সংকট

* অবকাঠামো দুর্বলতা (রাস্তা, যানবাহন, হোটেল)

* নিরাপত্তা ও পর্যটকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়নি

* পর্যটন খাতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব

* পর্যটন নীতি ও সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব

* আন্তর্জাতিক মানের প্রচারণা ও বিপণন ঘাটতি

করণীয় ও সুপারিশ

* সমন্বিত জাতীয় পর্যটন পরিকল্পনা প্রণয়ন

* সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে অবকাঠামো উন্নয়ন

* পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, নৌবন্দর ও পরিবহন মান উন্নয়ন

* দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু

* আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণে প্রচারণা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার

* পরিবেশবান্ধব পর্যটন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মনোযোগ।

পরিশেষে বলতে, ৫৬ হাজার বর্গমাইল আয়তনের ক্ষুদ্র দেশ হলেও বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা অত্যন্ত বিস্তৃত ও সীমাহীন। নদী, হাওর, পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, প্রাকৃতিক বনভূমি, ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সংমিশ্রণ এই দেশে ভ্রমণপ্রীত পর্যটকদের জন্য এক অনন্য আকর্ষণ সৃষ্টি করে। সিলেটের চা-বাগান, সুন্দরবনের বাঘ, কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, সুন্দর প্রাচীন মসজিদ ও মন্দির, নদী ও জলপ্রপাত—এই সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশকে একটি ভিন্ন ধরনের পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।

তবে দেশের পর্যটন শিল্পের যথাযথ বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অপরিহার্য। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, পর্যটন খাতের জন্য নিরাপদ ও আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা, সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের সুনাম প্রচার করা জরুরি। এ ছাড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করাও অপরিহার্য।

যদি এই দিকগুলো বাস্তবায়িত হয়, তবে বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে না, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে পারবে। দক্ষ পরিকল্পনা ও সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটন ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।