ঝিনাইদহে ৩ সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা ও তিন সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।
কর্মসূচিতে শৈলকুপা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিনাইদহ জেলা শাখাসহ জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন একাত্মতা ঘোষণা করেন। এসময় ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব শেখ ইমনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন সমকাল প্রতিনিধি তাজনুর রহমান ডাবলু, খবরের কাগজের আলমগীর অরণ্য, ডেইলি ইন্ড্রাস্ট্রির শিহাব মল্লিক, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি স্বপন মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিকের কাজে বাঁধা ও লাঞ্ছিত ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদকর্মীরা পেশাগত কাজে তথ্য সংগ্রহের জন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে। এসময় বহিরাগত আওয়ামী লীগ নেতা উল্টো অভিযোগ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা পেশাগতভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে সাংবাদিক নিপীড়ণকারী এনায়েত হোসেনকে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা। এছাড়া ইতোপূর্বে একাধিক সাংবাদিককে লাঞ্ছনাকারী ওই অভিযুক্তকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় কর্মসূচিতে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অংশ্রগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, শৈলকুপা ১৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিচ্ছন্নতার জন্য টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিদ্যালয়টিতে যান বাংলাদেশ পোস্টে’র রোভিং করেসপন্ডেন্ট দেলোয়ার কবীর, বাংলাদেশের খবর’র ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি এম বুরহান উদ্দীন ও ভোরের আকাশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সুজন বিপ্লব। সাংবাদিকরা অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহারের বক্তব্য শেষে বের হওয়ার সময় তার স্বামী পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনায়েত হোসেন হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হন। এসময় তিনি ওই তিন সংবাদকর্মীদের মারধরের হুমকি দিয়ে কেনো তারা সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিদ্যালয়ে ঢুকেছেন বলে জবাবদিহিতা চান। এছাড়া নিষিদ্ধঘোষিত ওই আওয়ামী লীগ নেতা চঁড়াও হয়ে নানা অশালীন ব্যবহার, হুমকি-ধামকি ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক দেলোয়ার কবীর বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
(এসই/এএস/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫)