‘জাতিসংঘের ভূমিকা মানবজাতির জন্য ইতিবাচক ও কল্যাণকর’

স্টাফ রিপোর্টার : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত কয়েক দশকে আন্তরাষ্ট্রীয় সংঘাত নিরসন এবং বহু বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে সংস্থাটির ভূমিকা মানবজাতির জন্য ইতিবাচক ও কল্যাণকর।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে দেওয়া ভাষণের শুরুতে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। তিনি সরকারপ্রধান হিসেবে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে ভাষণ দিলেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত আট দশক ধরে জাতিসংঘ ধারাবাহিকভাবে তার কর্মপরিধি সম্প্রসারিত করেছে এবং নানা ক্ষেত্রে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে। বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা ও সমতা প্রসারে জাতিসংঘ অনস্বীকার্য ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের কারণেই আজ বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রায় ১৩ কোটি বিপদাপন্ন মানুষকে জরুরি খাদ্য ও মৌলিক মানবিক সহায়তা এবং ৪৫ শতাংশ শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বহুপাক্ষিক সহযোগিতায় বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, টিকা এবং অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী সেবা ও সরঞ্জামের জোগান দিয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি, গত কয়েক দশকে আন্তরাষ্ট্রীয় সংঘাত নিরসন এবং বহু বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সীমাবদ্ধতাও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তবু সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘের ভূমিকা মানবজাতির জন্য ইতিবাচক ও কল্যাণকর।
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫)