‘আমার বাবার কাছেও এমন ঘটনা কখনও শুনিনি’

স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দল চলে এসেছে ফাইনালে। কিন্তু এশিয়া কাপের গ্রুপপর্ব থেকে ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছিল, সেটির সুরাহা হয়নি। বিশেষ করে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাতে সূর্যকুমারদের আপত্তির ঘটনা নিয়ে ক্রিকেটমহলে এখনও আলোচনা।
এবার সেই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলি আগা। জানালেন, আগে কোনোদিন এ ধরনের ঘটনা দেখেননি তিনি, শুনেননি তার বাবার কাছেও।
সালমান বলেন, ‘আমি পেশাদার ক্রিকেট খেলছি ২০০৭ থেকে। কখনও দেখিনি যে ম্যাচের মধ্যে দুটো দল হাত মেলাচ্ছে না। আমার বাবাও ক্রিকেটের বড় ভক্ত। ক্রিকেটের অনেক গল্প তার থেকে শুনেছি। উনিও কখনও বলেননি যে অতীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে। দুটো দল ক্রিকেট ম্যাচ খেললেও হাত মেলায়নি, এমন কখনও শুনিনি।’
এখানেই থামেননি সালমান। এরপর ভারতকে নিয়েছেন একহাত। বলেছেন, ‘বরাবর শুনে এসেছি ক্রিকেট মাঠে ভদ্রতা বজায় রাখা হয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখন এর থেকেও খারাপ সম্পর্ক ছিল, তখনও দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে। তখনও হাত মিলিয়েছেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। আমার মতে, ক্রিকেটের জন্য হাত না মেলানোর ঘটনা ভালো উদাহরণ নয়।’
সুপার ফোরে দুই দলের ম্যাচে আগ্রাসী উচ্ছ্বাস করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হারিস রউফ এবং শাহিবজাদা ফারহান। তবে দুই সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেণ অধিনায়ক সালমান। তার কথা, ‘আবেগ দেখানোর অধিকার সকলের রয়েছে। যদি কোনও পেস বোলারকে বলি আবেগ না দেখাতে, তাহলে আর কী পড়ে থাকবে? যতক্ষণ না কারও অসম্মান হচ্ছে, ততক্ষণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে কাউকে আমি আটকাব না।’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যে প্রবল চাপ থাকে সেটা মেনে নিয়েছেন সলমন। তবে এটাও জানিয়েছেন, বাইরের আওয়াজে কান দিতে চান না। পাকিস্তান অধিনায়কের কথায়, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সব সময়েই চাপের বোঝা থাকে। গত দুটো ম্যাচে আমরা বেশি ভুল করার কারণেই হেরেছি। ফাইনালে দুটো দলের উপরেই চাপ থাকবে। ভারতের সংবাদমাধ্যম কী বলছে তাতে আমরা পাত্তাও দিই না। নিজেরা ছোটখাটো জিনিসগুলো ঠিক করতে চাই।’
সালমান জানেন, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমেও তাদের খেলার সমালোচনা হচ্ছে। এক সাংবাদিক সে কথা মনে করিয়ে দিতেই পাকিস্তান অধিনায়ক বললেন, ‘বাইরের কে কী বলছে তার নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। নিজেদের হাতে যেটা আছে সেটা নিয়েই ভাবছি। এশিয়া কাপ জেতাই লক্ষ্য।’
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫)