মহম্মদপুরে ১০৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু

মহম্মদপুর প্রতিনিধি : ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা। আজ রবিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
উপজেলায় এবার মোট-১০৮টি পূজা মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাবুখালী ইউনিয়নে রয়েছে ২৬টি, দীঘা ও রাজাপুরে ১৬টি করে, নহাটায় ১৪টি, পলাশবাড়ীয়া ও বিনোদনপুরে ১২টি করে, সদর ইউনিয়নে ৯টি এবং সবচেয়ে কম ৩টি মণ্ডপ রয়েছে বালিদিয়ায়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গার আগমন হলেও ষষ্ঠীর মধ্য দিয়েই পূজার মূল আচার শুরু হয়। এদিন দেবীর বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, শুভ শক্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দেবী দুর্গা মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়ে অসুর শক্তিকে দমন করেন। বোধনের মাধ্যমে দেবীকে জাগ্রত করা হয়েছে। এ বছর দেবী দুর্গা গজে (হাতির পিঠে) আগমন করেছেন এবং দোলায় গমন করবেন।
পূজাকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসন নিয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি মণ্ডপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান জানান, "প্রতিটি মণ্ডপে আনসার-ভিডিপির সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীও সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। জেলা পুলিশ ,থানা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
দুর্গোৎসব শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক মিলনমেলাও বটে। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর নির্বিশেষে সবাই নতুন পোশাকে মণ্ডপে উপস্থিত হয়ে দেবী বন্দনায় অংশ নিচ্ছেন। পূজা মণ্ডপগুলোতে ঢাক-ঢোল আর শঙ্খধ্বনির সাথে চলছে ভক্তদের মিলনমেলা। ষষ্ঠীর পর ধারাবাহিকভাবে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর নানা আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
(বিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫)