চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে বিএনপি’র অর্ধশতাধিক কর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। এমন সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর চাটমোহর পৌর বিএনপি’র ও মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র  পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। 

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন সেখানকার স্থানীয় বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকরা।

চাটমোহর উপজেলা জামায়াতের আমীর মওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, জামায়াতের ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাদক, সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং ইসলামী আইন ও শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে বিএনপি থেকে অর্ধশতাধিক কর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী মূলগ্রাম ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো.হোসাইন আহম্মেদ আর প্রধান অতিথি ছিলেন, পাবনা-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আলী আজগর।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, চাটমোহর পৌর শাখার সভাপতি মো. সোলায়মান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুফতি মফিজ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উপজেলা শাখার সদস্য ওলিউল্লাহ সরকার প্রমূখ।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর এই যোগদান অনুষ্ঠান সত্য নয় বলে দাবি করেছে বিএনপি। বিএনপি’র দাবি বিএনপির কোন কর্মী-সমর্থক জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেননি। চাটমোহর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন, বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামে প্রায় অর্ধশত বিএনপি কর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। বিএনপি চাটমোহর পৌর শাখার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, এ সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যে,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যাচাই বাছাই করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, যে ১০ জন যোগদান করেছেন, তাদের সাথে বিএনপি’র কোন সম্পৃক্ততা নেই। বরং তাদের মধ্যে কয়েকজন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থক রয়েছেন। এটা বিএনপি ও কর্মী-সমর্থকদের মান ক্ষুন্ন করার একটি ষড়যন্ত্র। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বলছে, যাচাই বাছাই না করে সংবাদ প্রকাশ করা দায়িত্বহীন আচরণ ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধ। এই মিথ্যে সংবাদের জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা মিডিয়াকে অনুরোধ করছি এ ধরণের বিভ্রান্তিকর সংবাদ সংশোধন ও প্রত্যাহারের জন্য। বিএনপি সর্বদা সত্য ও জনগণের পাশে ছিল ও থাকবে।

(এসএই/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫)