স্টাফ রিপোর্টার : ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় মহানবমী বুধবার (১ অক্টোবর) মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রার্থনা, সঙ্গে বিদায়ের সুর।

রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডপে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দশমীতে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেবে ভক্তরা। কৈলাশে (স্বামীর বাড়ি) ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা।

সরেজমিনে পুরান ঢাকার তাঁতী বাজারে দেখা যায়, সরু গলির মধ্যে উচু মঞ্চে তৈরি করা হয়েছে ব্যতিক্রমি মণ্ডপ। নিচ দিয়ে দুই পাশ দিয়ে বের হওয়া এবং প্রবেশের জন্য আলাদা ব্যবস্থা।

শাস্ত্রীয় মতে, ২০২৫ সালে মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আসছেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাসে গমন করবেন। দেবীর আগমন হাতির পিঠে হলে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যা বসুন্ধরাকে শস্য-শ্যামলা ও সমৃদ্ধ করে তোলে। তবে গমন দোলায় হলে তা মহামারি বা মড়কের মতো অশুভ ইঙ্গিত বহন করে, যা এ বছর শুভ আগমন সত্ত্বেও প্রকৃতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজারেরও বেশি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীর ২৫৮টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধারণা, মহানবমীর দিনে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার সময়। দুর্গাপূজার অন্তিম দিন বলা যায় মহানবমীর দিনটিকে। মহানবমীতে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে ভক্তদের হৃদয়। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মাঝে বয়ে ওঠে বিষাদের সুর। পরদিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব চলে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় উৎসবের।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

বিজয়া দশমীতে সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর থেকে দেশব্যাপী প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ জেলায় দেবী বিসর্জন করবেন। এছাড়াও রাজধানীর অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে বুড়িগঙ্গায়।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১, ২০২৫)