সাবেক এমপি মুক্তি-বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নড়াইল-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মোজাম্মল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুধবার (০১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ কারাগারে এ আদেশ দেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর এ দুজনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম ও সোহেল রানা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর কাইয়ুম হোসেন নয়ন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে এই দুই আসামিকে আদালতে আনার সময় সিএমএম আদালতের সামনে তাদের বেশকিছু সমর্থক হাজির হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর গুলশান এলাকা থেকে মুক্তি ও মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর একটার দিকে গুলশানের ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার হাতে নিয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করাসহ তাদের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য উসকানিমূলক স্লোগানসহ রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পালানোর চেষ্টাকালে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করে। মোবাইল ফোনগুলো ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামে বিভিন্নি গ্রুপ খুলে আসামিরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নিজেরা সংগঠিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে মর্মে পুলিশ দেখতে পায়।
এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন ওইদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
(ওএস/এএস/অক্টোবর ০২, ২০২৫)