সাতক্ষীরায় শারদীয়া দুর্গাপুজার সমাপ্তি

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : দশমী পুজা, পুষ্পাঞ্জলী. মন্দির প্রদক্ষিণ, দর্পণ বিসর্জন, শান্তি কামনা, প্রসাদ বিতরণ ও যাত্রামঙ্গল পাঠের মধ্য দিয়ে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার ৫৯৩টি মণ্ডপে শেষ হলো হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপুজা। বিকেলে নারী পূর্ণার্থীরা মা দুর্গাকে সিঁন্দুর পরাবেন। একে অপরকে সিঁন্দুর পরিয়ে দেবেন। পুরুষরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা জানাবেন। সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপি শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
বিজয়া দশমীকে ঘিরে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া (কর্মকারপাড়া) সার্বজনীন দুর্গাপুজা মন্দির, পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি ও পলাশপোল সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে ভক্তরা পুজা দিতে আসেন। এ সময় ভক্তদের চোখে মুখে ছিল বিষাদের সুর। শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মণ্ডপপ্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। ঢাক ও কাসরের আওয়াজে ছিল “ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন”। অঞ্জলী প্রদান শেষে তারা মন্দির পরিক্রমা করেন। পরে সারা বিশ্বের সৃষ্টির মঙ্গল ও শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় যাত্রামঙ্গল শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপি পুজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল।
তবে অষ্টমীর সন্ধ্যায় কাটিয়া পুজামণ্ডপের পাশে গৌতম চন্দ্র এর বাড়ির তালা ভেঙে ৬৫ ভরি সোনার গহনা ও দেড় লাখ টাকা লুট, নবমীর রাতে শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেহেদীবাগে সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীর বাড়ির তালা ভেঙে ৪০ ভরি সোনার গহনা ও আট লাখ টাকা লুটপাটের ঘটনা পুজার আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যায়।
(আরকে/এএস/অক্টোবর ০২, ২০২৫)