বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : মহালয়ার মধ্যে দিয়ে সুচনা হয় শারদীয় দুর্গাৎসব তবে শেষ হলো বিজয়া দশমী পুজোয়।মুল পুজোর অনুষ্ঠান ছিলো ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। তবে সপ্তমীপূজার দিন থেকে মন্দিরে মন্দিরে আগমন ঘটে দেবী ভক্তের। তাইতো বিজয়া দশমী পুজোয় ভক্তদের চোখ ছল ছল করছে চোখে মুখে বিষাদের সুর।

সরেজমিনে মন্দিরে গিয়ে দেখা গেলো দশমী পূজো শুরু হয়েছে। দশমীর পরে হিন্দু নারীরা তাদের দেবীকে মিষ্টি মুখ করিয়ে একে অপরকে সিধুর রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ফলে ক'দিন আগের ঢাকের তাল আর দশমীর পুজোর ঢাকের তাল বিস্তর ফারাক।দশমীর ঢাকির ঢাকের তাল বলে দিচ্ছে আর কিছুক্ষণ পর তাদের আরাধ্য দেবীদূর্গা তার সঙ্গীদের মর্ত্তলোক থেকে ভক্তদের বিদায় জানিয়ে চলে যাবেন দেবলোকে এমনটি জানাচ্ছিলেন দেবী ভক্তরা। দেবী ভক্তরা আরো জানালেন পুজোর ক'দিন খুব ভালো কেটেছে তাদের তবে বাধ সেধেছিল বৃষ্টি। পুজো কেন্দ্রীক নেতারা জানালেন এবার ৪৯টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার দুর্গাৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছিলেন পুজো মণ্ডপগুলো। এদিকে বিকেলে সদর ইউনিয়নের আড়িয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেল,অনেক মন্দিরের দেবী দূর্গাকে বাঙালি নদীর জলে নৌকায় করে শোভাযাত্রা পালন করছে। এই শোভাযাত্রা দেখার জন্য নদীর দু-ধারে ব্যপক জনসমাগমের সৃষ্টি হয়। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নদীর ঘাট এবং আশপাশ রেখেছিল কঠোর নজরদারিতে। যদিও সূর্য ডোবার সাথে সাথে এক করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য দেবীকে তারা নদীর জলে বিসর্জন দেন। এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রওশন কবির বলেন,থানা পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের টিম আড়িয়াঘাটে নদীর পাড়ে অবস্থান থাকবে। মুলত সুশৃঙ্খল ভাবে যেমন পুজোর আনুষ্ঠানিকতা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালন করেছেন। ঠিক তেমনি সুশৃঙ্খল পরিবেশে বিসর্জন দিবে তাদের আরাধ্য দেবীকে। বিসর্জন সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা আছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব

(বিএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২৫)