নাটোরে বৃদ্ধার মুখমন্ডল থেঁতলে হত্যা করে স্বর্ণালংকার খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা
.jpg)
অমর ডি কস্তা, নাটোর : নাটোরের বড়াইগ্রামে এক বৃদ্ধার মুখমণ্ডল থেঁতলে হত্যা করে তার পরিহিত স্বর্ণালংকার খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারীর নাম মমতাজ বেগম (৭০)। সে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের সরদারপাড়া মহল্লার মরহুম শফিউল্লাহ (শফি ইঞ্জিনিয়ার) এর সহধর্মিনী। রবিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে তার নিজ বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর মমতাজ বেগম একাই এই বাড়িতে থাকতেন। তবে তার জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলো দুই জন গৃহকর্মী। মমতাজ বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পৈতৃক বাড়ির অদূরে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন বাবার রেখে যাওয়া আরেকটি বাড়িতে বসবাস করেন এবং মেয়ে বেবি আক্তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মমতাজ বেগমকে সারাদিন দেখাশোনা করতেন গৃহকর্মী সুফিয়া বেগম (৪০) এবং রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন কাজী আবু শামা (৬০)। ঘটনার দিন সাংসারিক কাজ সেরে সন্ধ্যায় চলে যায় গৃহকর্মী সুফিয়া। প্রহরী আবু শামা সরদারপাড়া জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করে ওই বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন মমতাজ বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় নিজ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন এবং তার মুখমন্ডল থেঁতলানো। আবু শামা চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে এবং দ্রুত বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মমতাজ বেগমের ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু জানান, ফাঁকা বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা ঢুকে আমার মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুই হাতে থাকা স্বর্ণের বালা-চুড়ি, আঙ্গুলে থাকা তিনটি সোনার আংটি ও গলার চেইন খুলে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা আমার মায়ের পরিচিত। তাই তারা আমার মায়ের মুখমন্ডল ফ্লোরে গুতিয়ে গুতিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি এই খুনীদের দেখতে চাই, এই খুনীদের দ্রুত খুঁজে বের করে ফাঁসি দাবি করছি।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস জানান, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলেই পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে। তবে মূল ঘটনা উম্মোচনের জন্য থানা পুলিশ ও পাশাপাশি পিবিআই মাঠে নেমেছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ও আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
(এডিকে/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০২৫)