রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশায় স্বামী শহীদ মন্ডল হত্যা মামলায় স্ত্রী রহিমা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ২ জনই পলাতক ছিল।

সোহেল জেলার পাংশা উপজেলার কাজিয়ালপাড়া গ্রামের জিয়া উদ্দিনের ছেলে ও রহিমা একই গ্রামের নিহত শহীদ মন্ডলের স্ত্রী।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ থেকে ১০ মার্চ রাত ২টার সময় পাংশা উপজেলার কাজিয়ালপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল মন্ডলের ছেলে শহীদ মন্ডলকে তার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি নিয়ে রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলী আদালতে শহীদ মন্ডলের ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোহেল সহ ৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পাংশা মডেল থানায় রেকর্ড হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রহিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সে জানায় বিয়ের আশ্বাসে পরকীয়া প্রেমিক সোহেলের কথা মতো দুধের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে স্বামী শহীদ মন্ডল কে খাওয়ান। পরে ঘুমিয়ে পড়লে সোহেল ঘরে ঢুকে গামছা দিয়ে নাক, মুখ বেধে গলায় টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সোহেল চলে যাওয়ার ১০ মিনিট পর আমি চিৎকার করে লোকজন জোর করে তিনি।

রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, চাঞ্চল্যেকর শহীদ মন্ডল হত্যা মামলায় পরকীয়া প্রেমিক সোহেল ও স্ত্রী রহিমা খাতুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামীরা উপস্থিত ছিলেন না।

(একে/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০২৫)