ইউএনও'র অপসারণের দাবিতে ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাদের মানববন্ধন

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামিলীগকে পূনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ এনে সড়কে নেমে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় তারা "আওয়ামীলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবেনা" এমন নানারকম স্লোগান দিয়ে মানববন্ধনে তারা প্রতিবাদ জানান।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে পৌর শহরের স্টেশন রোডে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের উপর দাড়িয়ে "ভুক্তভোগী ঈশ্বরদীবাসী'র ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী দূর্ব্যবহার, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগকে পূনর্বাসনের ষড়যন্ত্র এবং গণঅভ্যুত্থানকারীদের অপদস্ত ও হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের নিকটাত্মীয় বর্তমান ইউএনও আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করছে এমন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণ চেয়েছে বিক্ষুব্ধ মানববন্ধনারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান পাতা, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি নান্নু রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান। আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও শত শত মানুষ ও ব্যবসায়ী মহল বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহন করেন।
বক্তব্যে তারা বলেন, বর্তমানে ঈশ্বরদীতে নিযুক্ত নবাগত ইউএনও মনিরুজ্জামান ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সঙ্গে আতাত করে তাদের পূনর্বাসনের চেষ্টা করছে। গণঅভ্যুত্থানকারীদের অপদস্ত করাসহ যার তার সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরন করছে। ঈশ্বরদীর মাটিতে এমন আওয়ামীপন্থি কোন কর্মকর্তা সাধারন মানুষের সেবক হিসেবে থাকতে পারবেনা, যে কিনা গোপনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করছে। গত কয়েকদিন আগে বৈধ বালু উত্তোলনের অনুমোদন থাকলেও অভিযানের নামে ১০-১২ জন বিএনপি কর্মীকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ এনে কারাদন্ড দিয়েছে বর্তমান ইউএনও। এসব কর্মকান্ডে প্রমানিত হচ্ছে সে আবারো আওয়ামীলীগকে টেনে উপরে তোলার চেষ্টায় নেমেছে। আমরা খুব দ্রুত তার অপসারণ দাবি করছি।
তবে এ ব্যাপারে ঈশ্বরদীর নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তারা যেসব অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আর আওয়ামীলীগের যে নেতাকে জড়িয়ে আমার নিকটাত্মীয় বানানো হচ্ছে, তাকে সারা বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে চিনে আমিও তাকে সেভাবেই চিনি। পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও টোল আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান করে তা বন্ধ করা হয়েছে বলেই সেই আক্রোশের জেরে এমন ভিত্তিহীন মানববন্ধন করছে তারা।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক(ডিসি) মো. মফিজুল ইসলামের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।
(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০২৫)