ঈশ্বরদীতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন, অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনওর নামে করা মানববন্ধন সংক্রান্ত বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে তিনি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন।
ইউএনও বলেন, “আমি ঈশ্বরদীতে যোগদান করার আগেই আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে, যা দুঃখজনক। মানববন্ধনে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে আমার কাছে আসেনি, কিংবা আমি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছি— এমন অভিযোগ সত্য নয়।”
তিনি আরও জানান, গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে শিক্ষকদের অংশগ্রহণে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অথচ ওই সরকারি অনুষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গুপ্ত মিটিং’ বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং মানববন্ধনে বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ঘটনার পেছনে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে ইউএনও বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পর জানতে পারি ইসলামপুর ঘাট ও সাড়াঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুই দিনে ১১টি মামলায় ১১ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এর পর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এতে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “সাড়াঘাটে রানাখড়িয়া তরিয়া মহল ঘাটের ইজারা গ্রহীতা নিজে কার্যক্রম না করে অন্যদের সাবলিজ দিয়েছেন। সাবলিজপ্রাপ্তরা নদীপথে চলাচলকারী নৌকা থেকে ২-৩ হাজার টাকা করে আদায় শুরু করলে আমি সেটি বন্ধের নির্দেশ দিই। আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলায় ওই চক্রের কিছু সদস্য ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়।”
ইউএনও মানববন্ধনে আনা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জনসেবায় নিয়োজিত আছি। ঈশ্বরদীর সাধারণ মানুষ আমার সহযোগী, আমি সবার পাশে থাকতে চাই।”
(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০২৫)