স্টাফ রিপোর্টার : প্রশাসনে বিশেষ দলের লোক বসিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, কোনো বিশেষ দলের প্রতি দুর্বল হয়ে, কারও চাপে মাথা নত করে, প্রশাসনে কোনো দলের পছন্দের লোককে বেছে বেছে পদায়ন করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত আছে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, এগুলো বন্ধ করে নির্বাচনের মাঠকে সমতল করতে হবে। যাতে প্রত্যেকটি ছোট-বড় দল সমান রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত সব সুযোগ সমানভাবে ভোগ করতে পারে। থানার ওসি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদেরও অনেকের ভূমিকা এখনো জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর জাতীয় পার্টিসহ চৌদ্দ দল ১৭ বছর শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়ে রেখেছিলো। তারা যদি পাহারা না দিতো, এতদিন তারা (আওয়ামী লীগ) টিকতে পারতো না, সাজানো নির্বাচন তারা করতে পারতো না। একই অপরাধে অপরাধী হওয়ার কারণে তাদেরও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের জন্য যে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি ট্রাইব্যুনালের কাজের অগ্রগতি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো কালো হাতের হস্তক্ষেপে যদি এসব খুনিরা বেঁচে যায়, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না।

এখনো প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিকতা, প্রচেষ্টার প্রতি আস্থা আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একদিকে আপনি (ড. ইউনূস) যেমন সরকারের প্রধান, অন্যদিকে আপনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেরও প্রধান। দুইটি প্রধান দায়িত্ব নিয়ে আপনি শক্ত থাকবেন। আপনার চারদিকে যে সমস্ত কিছু উপদেষ্টা আছেন, মাঝে মাঝে কোনো দিকে আপনাকে ঠেলে দিয়ে কোনো একটি বিশেষ দলের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রদর্শনের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা এই দৃশ্য আর দেখতে চাই না।

জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা আরও বলেন, একমত হয়ে যাওয়া সব বিষয়গুলো জুলাই চার্টারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে গণভোট দিতে হবে। সেই গণভোটের মধ্যে পিআরের প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জনগণ পিআর পদ্ধতি না মানলে আমরা জামায়াত ইসলামী সে প্রস্তাব মেনে নেব। কিন্তু জাতির মতামত না নিয়ে পিআরকে উপেক্ষা করা যাবে না।

বিক্ষোভ সমাবশে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১১, ২০২৫)