ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা। আবর্জনার দূর্গন্ধে সড়ক দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোলা জায়গায় ট্রাক ও ভ্যান ভর্তি করে প্রতিদিন ময়লা ফেলায় সড়কের একপাশ এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কাক আর কুকুর আবর্জনা টেনে হিঁচড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা এলাকায়। বর্জ্য পঁচা দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে ছড়াচ্ছে রোগবালাই। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ ব্রীজের উত্তর পাশে কাঁচা মাটিয়া নদীর পাড় ভরাট হয়ে ময়লা আবর্জনা এখন মহসড়কের উপর ছড়িয়ে পড়ছে। পৌরসভার ময়লা ফেলার নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় আবাসিক এলাকা অধ্যুসিত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলার অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। বাতাসে পুঁতিময় দুর্গন্ধ চারদিক ছড়িয়ে পড়ায় নাক চেপে ও রুমাল ব্যবহার করে জায়গাটি পার হচ্ছেন পথচারীরা। যে জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে তার খুব কাছেই রয়েছে আবাসিক এলাকা মসজিদ পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অসংখ্য দোকানপাট।

পথচারী ফারহানা অক্তার তুলি (৩৫) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি একটি প্রধান সড়ক। এ সড়কে পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে থাকে। দুর্গন্ধের কারণে এ জায়গা দিয়ে হাটাতো দূরের কথা শ্বাস নিতেই কষ্ট হয়। ভূইয়া সুপার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী কাজী ইজাজুল হক ও শাহজাহান মিয়া জানান, দুর্গন্ধের কারণে দোকানে ক্রেতা আসতে চায় না।

ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাব রোড়ের বাসিন্দা আ. জব্বার ভূইয়া ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ভূইয়া জানান, ময়লার দুর্গন্ধতো আছেই তার উপর ভাগাড়ে ফেলা শুকনো বর্জ্যে আগুন দেয়ার ফলে দুই তিন দিনব্যাপী জলন্ত আগুনের ধোঁয়ায় সমগ্র এলাকা আছন্ন হয়ে পড়ে। তখন আমাদের শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। আবাসিক এলাকা থেকে ভাগাড়টি সরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা বহুবার আবেদন জানিয়েছি কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ অসহনীয় দুর্ভোগের কথা একবারও চিন্তা করেনি। আমরা অবিলম্বে এখান থেকে ভাগাড়টি অপসারণের দাবী করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. জাকির হোসাইন জানান, দুর্গন্ধ আর ধোঁয়া বাতাসে মিশে অক্সিজেনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে শ্বাস কষ্ট ও ফুসফুসের প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে।

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক সালাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পৌরসভার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। পৌরবাসী জায়গা দেখিয়ে দিলে সেখানে ময়লা ফেলা হবে। স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলে অধিগ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এন/এসপি/অক্টোবর ১৪, ২০২৫)