রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা অধ্যুষিত কোলা উত্তর পাড়া গ্রামের কোলা-নোয়াপাড়া-কুচিয়াবাড়ি সংযোগ সড়কটি প্রায় ৪০ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। 

এই সড়ক দিয়ে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষজন চলাচল করেন। দিঘলিয়া, লক্ষীপাশা ও মল্লিকপুর এই তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে কৃষিজীবি পরিবারের মানুষজন মাঠ থেকে ফসল আনা-নেওয়া করে থাকে।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার বসবাস উপজেলার কোলা গ্রাম। এই গ্রামের বুক চিরে লক্ষীপাশা-মহাজন আঞ্চলিক সড়কের অবস্থান। আর এই আঞ্চলিক সড়কের কোলা-নোয়াপাড়া-কুচিয়াবাড়ী সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার করা হয় নাই। ফলে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

১৯৭৮ সালের দিকে এই সড়কটি ইট দ্বারা সলিং তৈরী করা হয়েছিল। সেই থেকে আজ অবধি কোন সংস্কার হয় নাই। রাস্তাটি ভেঙ্গে খানা-খন্দে পরিনত হয়েছে। এতে করে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে কোলা গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হালিম শেখ, মো. সাহাদাত হোসেন, মো. আকবার হোসেন, মো. ছালাম শেখ, মো. হান্নান শেখ, ইউপি সদস্য মো. জামাল হোসেন, কৃষক ফায়েক হোসেন, নওশের মৃধা, লায়েক হোসেন ও হানেফসহ অনেকে বলেন, লোহাগড়া উপজেলার মধ্যে কোলা গ্রাম সব থেকে বেশি সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার বসবাস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গ্রামের সড়কটিতে আজও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বিষয়টি সত্যিই আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

বিগত দিনে যারা এমপি, চেয়ারম্যান হয়েছেন তাদের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করা হলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। সবাই আশ্বাসের বাণী শোনালেও কেউ সড়কটি সংস্কার করে নাই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবী দ্রুত সড়কটি সংস্কার বা মেরামত করা হোক।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসিমের সাথে কথা হলে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'এই অর্থ বছরের মধ্যে যেকোন প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি অন্তর্ভুক্ত করে পাকা করনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(আরএম/এএস/অক্টোবর ১৯, ২০২৫)