বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে আজ সোমবার রাতে শ্যামাপুজা (কালীপূজা) অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের কথা বললে তারা জানায়, বুড়ো অমাবস্যার এই রাতে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে আমরা প্রদিপ প্রজ্বলন করে তাদের কাছ থেকে আশির্বাদ কামনা করে থাকি। সন্ধ্যায় অন্ধকারকে আলোয় পরিনত করতে দিয়ারে সলতেই আলো জ্বালিয়ে আলোময় করি।

উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন চন্দ্র সাহা জানান, বছরের সবচেয়ে বড় আমবস্যা যাকে গ্ৰাম্য ভাষায় (বুড়া আমবস্যা) আমরা বলে থাকি।

এই আমবস্যাতে যেসব জায়গায় কালীপূজা হবে সোনাতলা কেন্দ্রীয় মন্দির, পৌরসভার চমরগাছা, শাহবাজপুর। মন্ডমালা, বালুয়ার খেতসারদিঘী, নগরপাড়া, চিল্লিপাড়া, হাড়িয়াকান্দি, লোহাগাড়া, হরিখালী তালতলা। এছাড়াও আরো কয়েকটি মন্দিরে রাত নয়টা থেকে শুরু হয়ে পুজো চলবে ভোর রাত পর্যন্ত।

এই পূজা উপলক্ষে ইতিমধ্যেই মৃত শিল্পের কারিগর চাহিদা অনুযায়ী মন্দির কমিটির কাছে কালীপ্রতিমা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

মৃত শিল্পের কারিগর রবীন্দ্রনাথ পাল জানান, এবছর ৬টি প্রতিমার অর্ডার নিয়েছিলাম এবং গতকালই কমিটির কাছে বুঝে দিয়েছি।

শাহবাজপুর মন্দির কমিটির সভাপতি রতন চন্দ্র সাহা বলেন, বহু বছর ধরে এই মন্দিরে আমবস্যা তিথিতে আমরা কালীপুজো করে আসছি। অন্যান্য মন্দিরের লোকজন জানান সন্ধ্যায় মন্দির সহ বাড়িতে দীপান্বিতার প্রদিপ প্রজ্বলন করবো। এরপর রাতে পুরোহিত এসে কালীপূজো করবেন।

সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন কবির বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা উপলক্ষে সোনাতলা থানা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সাথে টহলরত পুলিশ দল পুজো চলাকালীন সময়ে প্রতিটি পূজা মণ্ডপগুলোর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তান্ত্রিক লোকজন পুরো বছরের তন্ত্রমন্ত্র গুলো নাকি এই রাতেই ঝালাই করে নেন।

(বিএস/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০২৫)