স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পর এবার আসামিপক্ষে যুক্তি তর্ক শুরু হয়েছে। যেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন।

দুপুরের বিরতিতে রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী আমির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার তো প্রত্যাশা শেখ হাসিনা খালাস পাবে। আমি মনে করি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নিরপরাধ ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। সাক্ষ্যে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হননি। এটা আমার অভিমত, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জমান খান খালাস পাবেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৫ম দিনের মতো যুক্তিতর্ক শেষ করে প্রসিকিউশন।

গত ১১ অক্টোবর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আইনানুযায়ী প্রথমে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন। এরপর হবে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর। এটি হলো ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার সর্বশেষ ধাপ। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হবে।

এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাকি দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২০, ২০২৫)