স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ জানালেন, নিউইয়র্ক থেকে ফিরে মাত্র দুটি অনুশীলন সেশনেই তিনি অ্যাশেজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। প্যাট কামিন্সের পিঠের চোটের কারণে আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেয়ার সম্ভাবনাও বর্তাতে পারে তার কাঁধে।

স্মিথ সম্প্রতি সিডনিতে ফিরে ক্রিকেট সেন্ট্রালে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের বিপক্ষে অনুশীলনে অংশ নেন। এর আগে তিনি তিনদিন থ্রো-ডাউন অনুশীলন করেছিলেন। এখন তিনি দুইটি শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচ খেলবেন— একটি কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে গ্যাবায়, আরেকটি ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে এসসিজিতে— তারপর মুখোমুখি হবেন ইংল্যান্ডের।

তবে স্মিথের মতে, এত প্রস্তুতিরও তেমন দরকার নেই, কারণ তিনি নিজেকে আগেই প্রস্তুত মনে করছেন, ‘সত্যি বলতে, আমার কেবল দুইটা সেশনই যথেষ্ট। এখনই মনে হচ্ছে আমি প্রস্তুত। শরীর দারুণ লাগছে, মুভমেন্ট ভালো, আর আমি মানসিকভাবেও ঠিক জায়গায় আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বেশ কঠোর অনুশীলন করেছি, শরীরচর্চাও করেছি। শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। গতকাল সব স্ট্রেন্থ টেস্টের ফল আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো এসেছে। তাই আত্মবিশ্বাসী।’

অন্যদিকে কামিন্স এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে যাননি, তবে সময় ফুরিয়ে আসছে। স্মিথ জানান, কামিন্স এখনো বোলিং শুরু করেননি, ‘ওর কিছু ধাপ পার করতে হবে বোলিংয়ে ফেরার আগে, তবে ওর মনোভাব ইতিবাচক। ও দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সবাই জানে। আশা করি দ্রুত সেরে উঠবে।’

স্মিথ ও কামিন্সের অধিনায়ক-সহঅধিনায়ক জুটি এখন পর্যন্ত দারুণ সফল। কামিন্সের সময়ে অনুপস্থিতিতে স্মিথ ছয়টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন— জিতেছেন পাঁচটিতেই। স্মিথ মনে করেন, আবারও দায়িত্ব এলে এটি হবে স্বাভাবিক এক রূপান্তর, ‘এটা খুব জটিল কিছু নয়। আমি দলের কাজের ধরন জানি, পরিবেশ দারুণ। যদি দায়িত্ব আসে, আমি নিজের স্টাইলে করব। আমি মাঠে যেভাবে খেলতে ভালোবাসি, সেটাই অনুসরণ করব।’

অধিনায়ক থাকাকালীন স্মিথের ব্যাটিং গড় ৬৮.৯৮, যা সাধারণ অবস্থায় ৪৯.৯০— এর স্পষ্ট প্রমাণ তার নেতৃত্বে পারফরম্যান্সের মান বাড়ে। ২০২১-২২ অ্যাশেজে কামিন্স করোনা নিকট-সংস্পর্শে পড়লে স্মিথ অধিনায়ক হিসেবে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

নিজের মানসিক পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত চার-পাঁচ বছরে আমি অনেক শান্ত হয়েছি। এখন মাঠে বেশি রিল্যাক্সড থাকি, কম রাগী। সবাইকে শুনি, মতামত নিই, তারপর সিদ্ধান্ত দিই।’

কামিন্স না থাকলে তার বিকল্প নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই স্মিথের, ‘আমাদের হাতে স্কট বোল্যান্ড আছে, যিনি আমার মতে বিশ্বের সেরাদের একজন। তার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ায় অবিশ্বাস্য। পাশাপাশি স্টার্ক ও হ্যাজলউড তো আছেনই, তাই খুব একটা ঘাটতি হবে না।’

অর্থাৎ, কামিন্স থাকুক বা না থাকুক—অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত স্টিভেন স্মিথ, ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসী, নেতৃত্বে ঠাণ্ডা মাথার, আর মানসিকভাবে আগের চেয়ে আরও পরিণত।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২১, ২০২৫)