মহম্মদপুরে বিলের শামুক এখন জীবিকার উৎস

বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ইছামতি,সিংগের বিল, গড়ামারাসহ, বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে এখন চলছে শামুক সংগ্রহের ব্যস্ততা। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই বিলজুড়ে দেখা মেলে নৃগোষ্ঠী আদিবাসী সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের কোলাহল। কেউ কোমর সমান পানিতে ডুবে কাদা খুঁড়ছেন, কেউ ঝুড়িতে ভরছেন সদ্য সংগ্রহ করা শামুক।
আগে এসব শামুক স্থানীয়ভাবে হাঁস-মুরগির খাবার বা জৈব সার তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এখন এ শামুকের বাণিজ্যিক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তা সংগ্রহকারীদের জীবিকার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিল থেকে সংগ্রহ করা শামুক প্রতি বস্তা পাইকারি দরে ৪০০ থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকা দামে বিক্রয় করছেন।
পানিঘাটা গ্রামের ছলেমাম শেখ নামের এক শামুক ব্যবসায়ী।তিনি খুলনায় ডুমুরিয়ার এলাকার ম্যাক্সিমাইল, লাখোহাটি ও মির্জাপুরে এই শামুক ক্রয় করে নিয়ে বিক্রয় করছেন প্রতি বস্তাটা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দামে।
উপজেলার ঋগড়দিয়া গ্রামের আদিবাসী মিতা রানী, মিলারানী ও নিতিশ বিশ্বাস বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে দুপুর পর্যন্ত যে শামুক সংগ্রহ করি তাতে দু’বস্তা হয়। প্রতি বস্তা শামুক ৪০০ টাকা মূল্যে আমরা বিক্রয় করি। আর এই আয় থেকে আমাদের পরিবারের দু'মুঠো ভাত হয়।
এভাবেই একসময় অবহেলিত বিলের কাদা ও পানিতে লুকানো শামুক আজ মহম্মদপুরের অনেক দরিদ্র পরিবারের জীবনে এনেছে আশার আলো। প্রকৃতির এই সহজ উপহার হয়ে উঠছে দারিদ্র্য জয়ের হাতিয়ার।
(বিএস/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০২৫)