সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব ডায়মন্ড এগ লিমিটেড পোল্ট্রি ফার্মে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে  ৪ লাখ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডাঃ তামান্না তাসনীমের নেতৃত্বে ও পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও কলকারখানা অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এ জরিমানা আদায় করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ তামান্না তাসনীম জানান, ডায়মন্ড এগ লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম-নীতিবহির্ভূত ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই এবং মুরগির বিষ্ঠা ও বর্জ্য অপসারণের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা না থাকায় আশপাশের পরিবেশ ও জনজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭টি শর্তের মধ্যে ৮টি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পশু আইন ২০০৫ ও ২০১৮ অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া ফার্মে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবহার করে জৈব সার তৈরির পর বিপুল পরিমাণ অবশিষ্ট বর্জ্য খোলা স্থানে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ১৯৯৫ সালের বিধিমালা ও ২০১০ সালের সংশোধিত ধারার আলোকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানে আরও জানা যায়, ডায়মন্ড পোল্ট্রিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের কাজে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকজন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে কলকারখানা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাহিদুল হক, কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রব, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আতিকুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর রাকিবুল হাসান, কলকারখানা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) মোঃ
রবিউল ইসলাম বাঁধন, ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের ডিজিএম মোঃ আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র এজিএম সোহেল রানা বাবু ও ফার্ম ব্যবস্থাপক মোঃ মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

(এসকেডি/এএস/অক্টোবর ২২, ২০২৫)