স্টাফ রিপোর্টার : সুপারশপে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাদের প্রলুব্ধ ও অফারে মানহীন পণ্য বিক্রি করা যাবে না। শপগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকার সুপারশপগুলোকে ভোক্তাবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এ সভা হয়।

এসময় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ভোক্তারা কোনো পণ্য কিনে সংক্ষুব্ধ হলে কত সময়ের মধ্যে কার কাছে অভিযোগ জানাবেন সে কর্মকর্তা ও বিকল্প কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর আউটলেটের সামনে দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। সেই সঙ্গে সব আউটলেটে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করতে হবে।

এছাড়া প্রতিটি সুপারশপ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত আউটলেট পরীক্ষা, মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য থাকলে তা অপসারণ, আউটলেট পরিচালকারী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিয়মিত তদারক এবং তাদের জন্য ভোক্তা-অধিকার আইনসহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।

তাছাড়া সভায় সুপারশপ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি ভোক্তাবান্ধব এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় অন্যান্য খাতের সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে এমন সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় স্বপ্ন, আগোরা, ইউনিমার্ট, প্রিন্স বাজার, আমানা বিগ বাজার ও ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস সুপারশপের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এসময় সুপারশপ প্রতিনিধিরা জানান, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে ও নিজ নিজ গ্রাহকদের ধরে রাখতে হলে সুলভমূল্যে মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করার বিকল্প নেই। তারা তাদের পণ্য ও সেবার মান বৃদ্ধিতে সচেষ্ট থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ, মানহীন, অবৈধ কিংবা নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার সুযোগ নেই। এগুলো দণ্ডনীয় অপরাধ। বিদেশি পণ্য বিক্রি করতে আমদানি সিল ও সরকারি কর্তৃপক্ষের সিল থাকতে হয়। কিন্তু বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন অনলাইনে ও সুপারশপের ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে নকল পণ্য বিক্রি করছে বলে অভিযোগ আসছে, যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এক্ষেত্রে ভোক্তারা প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সুপারশপগুলোকে নিজেদের স্বার্থেই বিক্রির ক্ষেত্রে পণ্যের সঠিকতা যাচাই করে নিতে হবে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২২, ২০২৫)