চাটমোহরে ৫টি অবৈধ সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ

চাটমোহর প্রতিনিধি : প্রতিবছর চলনবিল অঞ্চলের চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন নদ নদীতে অবৈধভাবে সোঁতি বাঁধ স্থাপন করে কোটি টাকার দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধন করা হয়। একই সাথে চলনবিল অঞ্চলের জীববৈচিত্র ধ্বংস করা হচ্ছে গত কয়েক যুগ থেকে। এ সকল কর্মকান্ডে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত থাকার কারণে প্রশাসন বছরের পর বছর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
কিন্তু এই বছর পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে চলনবিল অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী শিকার বন্ধে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরীর ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। তারপরেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বার বার উচ্ছেদের পরেও আবারো সোঁতি বাঁধ স্থাপন করেছিল প্রভাবশালীরা।
বুধবার সকাল থেকে একটানা রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫টি সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করল প্রশাসন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ অভিযানে সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়।
জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগারি বিল, কিনু সরকারের জোলা, নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধরমগাছা, কাটা গাং এলাকায় এই পাঁচটি অবৈধ সোঁতি বাঁধ অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আব্দুল মতিন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার আব্দুল মতিন জানান, পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে এই সকল অবৈধ সোঁতি বাঁধ স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে চাটমোহরে সোঁতি বাঁধ উচ্ছেদ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী জানান, এই সকল অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
(এসএইচ/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০২৫)