ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেডে নিয়োজিত এবং রূপপুর এনপিপি-তে কর্মরত মানবসম্পদের কর্মস্পৃহা, কর্ম উদ্দীপনা ও পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগী ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ হিসেবে "মাসিক সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রূপপুর এনপিপি ট্রেনিং সেন্টারে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত মানদন্ডের আলোকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এর জন্য ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক ইনজামামুল ইসলাম চৌধুরী মনোনীত হন।

অনুষ্ঠানে এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাসানসহ সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান JSC ASE-এর প্রকল্প পরিচালক জনাব ই লিজ ও পরিচালক আর জে মাসাগোতব, JSC Atomtecenergo (JSC ATE) এর পরিচালক ডেনিস মুজলভ, Rosenenergoatom এর পরিচালক জনাব ভাদিম ভ্লাডিমিররুভিস ছিনিয়াকব এবং সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাসান বলেন, ‘খুব শিঘ্রই ইউনিট-১ এ পারমাণবিক জ্বালানি লোডিং কার্যক্রম সম্পাদিত হতে যাচ্ছে। যা জাতীয় পর্যায়ে এক ঐতিহাসিক ও মাইলফলক অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি আরও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে রূপপুর এনপিপি-তে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বিত প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন।’

রূপপুর এনপিপি-তে কর্মরত সকল ডেপুটি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট, JSC ASE-এর প্রকল্প পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

জানা গেছে, দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহের পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) গঠিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ এর Physical Startup কার্যক্রম নভেম্বরে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এনপিসিবিএল-এ নিয়োজিত এবং রূপপুর এনপিপি-তে কর্মরত মানবসম্পদের কর্মস্পৃহা, কর্ম উদ্দীপনা ও পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগী ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ হিসেবে "মাসিক সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা হয়। প্রতিমাসে কর্মেেত্র প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের মাধ্যমে উৎকৃষ্ট কর্মদক্ষতা প্রদর্শনকারী ব্যক্তিকে এই বহুল প্রত্যাশিত সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। যা প্রাতিষ্ঠানিক মনোবল বৃদ্ধি ও কর্মসংস্কৃতি উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০২৫)