মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স হলে গত ২৩ অক্টোবর আয়োজন করা হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা অভা। ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট এ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর পক্ষে সভাপতি গোলাম কাদের। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ বোরহানউদ্দিন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। সত্য উদঘাটনে সমাজের অসংগতি তুলে ধরাই তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাইয়ের ছেলে মির্জা মোহাম্মদ আল আমিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক, প্রফেসর গাউসুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকা ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি হাফিজুর রহমান খান বাবু। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, চিত্রশিল্পী সন্তু সাহা।

এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ডেপুটি রেজিস্টার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তাজনাহার মিলি ও উপ-পরিচালক বাংলা একাডেমি ডঃ শাহেদ মনতাজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর আর গ্রুপ রবিউল ইসলাম।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক বেলকুচি বহুমুখী মহিলা ডিগ্রী কলেজের কবি আব্দুল হামিদ সরকার।

আরও উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক কবি ডাক্তার ইমরান আলী, এবং কথা সাহিত্যিক কবি ও গীতিকার ঢালি মোহাম্মদ দেলোয়ার।

অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে সভাপতিত্ব করে প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ হানিফ খান গণসংযোগ ও জার্নালিজম বিভাগের চেয়ারম্যান দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

উক্ত সভার আয়োজক সভাপতি ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম কাদের।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকা ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরপুর প্রেস ক্লাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের প্রতিটি নির্বাচনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এখনই সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের উপরে নির্যাতন-নিপীড়ন এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বহু সাংবাদিককে আহত করা হয়েছে কিন্তু জাতীয় প্রেসক্লাব কেন নীরব ভূমিকা পালন করছে, এ প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিক সিদ্দিক।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই জাতীয় প্রেসক্লাব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সকল প্রেস ক্লাবকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপারে চাপ প্রয়োগ করবে সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করার জন্য। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য ডাক্তার হানিফ খান বলে আগামী নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা থাকবে দলমত নির্বিশেষে কাজ করা। কারণ নতুন বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ ব্যতীত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকের ভূমিকা অগ্রগণ্য থাকবে কাজেই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের উচিত হবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়া।

তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা তাদের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। ডঃ সাহেদ মন্তাজ তার বক্তব্যে বলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের আর্থিক বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে সরকারের। তাদেরও পরিবর পরিজন রয়েছে তাদের অর্থের দরকার আছে।

প্রফেসর গাউসুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ পূর্ববর্তী সময়ে রাজপথে ঝুঁকি নিয়ে একমাত্র সাংবাদিকেরাই কাজ করেছেন। কিন্তু তাদেরকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এত ঝুঁকির মধ্যেও তারা সংবাদ সংগ্রহ করে জাতিকে উপহার দিয়েছে সংবাদ। অন্য কোন দপ্তর জানাতে সক্ষম হয়নি তারপরেও কেন তারা অবহেলিত। আলোচকদের আলোচনা শেষে সবার শেষ করেন সভাপতি ডাক্তার হানিফ খান।

(এসআর/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২৫)