আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ঝূকিপূর্ন ব্রীজ রক্ষায় স্পিডব্রেকার বসিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এরমধ্যে মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কাসেমাবাদ লালপুল ব্রীজের দুইপাশে স্পিড ব্রেকার বসানো হয় শনিবার ভোরে। 

স্পিড ব্রেকার বসানোর পরপরই ওইদিন ছোট বড় তিনটি দূর্ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৬জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দূর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাসেমাবাদ লালপুল এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে ব্রীজের দুইপাশে স্পীড ব্রেকার বসানো হয়। তবে স্পিড ব্রেকারে কোন সর্তকতা মূলক রং দেওয়া হয়নি। যে কারণে ওইদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোভ্যান যাত্রীসহ দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরমধ্যে দূর্ঘটনার শিকার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউপি সদস্য মোটরসাইকেল চালক মনির হাওলাদারকে গুরুত্বর অবস্থায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে আগত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ও কাসেমাবাদ এলাকার দুইটি ঝূকিপূর্ণ ব্রীজের দুই পাশে ব্রীজ রক্ষায় স্পীড ব্রেকার বসানো হয়েছে। রবিবারের মধ্যেই স্পীড ব্রেকারে সতর্কতামূলক রং করে দেওয়া হবে। গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, দূর্ঘটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. ইব্রাহীম বলেন, বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগকে অবহিত করে দূর্ঘটনারোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০২৫)