সুবর্ণচরে বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করছেন আ.লীগ নেতা
স্টাফ রিপোর্টার : বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতা মো: আব্দুর রহিম হেলাল এর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
শুধু তাই নয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে তিনি ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন গত ইউপি নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনে তিনি ডিউটি না করে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্য ভোট চান এবং একাধিক জনসভা, পথ সভায় বক্তব্য রাখেন এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্জল্যের সৃস্টি হয়। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পেতোনা যেই প্রতিবাদ করতো তার ওপর নেমে আসতো নির্যাতন, সম্প্রতি চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম পুলিশে নিয়োগে তার এক নিটক আত্মীয়কে চাকুরির জন্য সর্বচ্চ সুপারিশ করার অভিযোগও করেন চাকুরি প্রার্থী একাধিক ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মোহাম্মদ উল্যাহ নামে এক ভুক্তভোগী।
মো:আব্দুর রহিম হেলাল প্রকৃত বয়স গোপন করে গ্রাম পুলিশের চাকরিতে বহাল তবিয়তে আছেন অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহিম হেলালের নিয়োগ ০১-০২-২০১২, ভোটার তালিকায় জন্ম তারিখ ০১-০৪-১৯৭৭, নিয়োগের সময় বয়স ৩৪ বছর ১০ মাস। নিয়োগের সময় বয়স লাগে ১৮-৩০ বছর। কিন্তু নিয়োগের সময় তার বয়স ৪ বছর ১০ মাস বেশি। তিনি এখনও দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত বয়স গোপন রেখে চাকরি করে যাচ্ছেন মো:আব্দুর রহিম হেলাল একই সঙ্গে সরকারি বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। তার প্রবাসী মেয়ের নামে রয়েছে সরকারি প্রকল্পের মুজিব বর্ষের ঘর। হেলাল চরক্লার্ক ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরো জানা যায় বিগত সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলো নিজেই নিজের নামে এবং পরিবারের নামে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাম পুলিশ মো: আব্দুর রহিম হেলাল এলাকার অসহায়, দুঃস্থ নারী-পুরুষের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধাবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও টিনসেড ঘর, সরকারি প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন।
উক্ত বিষয় জানতে চাইলে, অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রাম পুলিশ মো:আব্দুর রহিম হেলাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে আমি জড়িত নই, কাগজপত্র উপজেলায় জমা আছে আমি যদি অনিয়ম করি তাহলে আমার সাজা হবে এতে আমার কিছু করার নাই।
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
(এস/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২৫)
