নিউজ ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন ঠোঁটজোড়া শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। পুরো মুখের সৌন্দর্য কেড়ে এতটুকুই যথেষ্ট। ঠোঁট রুক্ষ হয়ে থাকলে পুরো চেহারাই ম্লান লাগে। তাছাড়া এমন ঠোঁটে লিপস্টিকও ভালোভাবে বসতে চায় না। 

সুন্দর আর কোমল ঠোঁট পেতে নিয়মিত এর যত্ন নেওয়া জরুরি। এর জন্য রোজ রাতে কিছু নিয়ম মানা উচিত কীভাবে নমনীয় ঠোঁট পেতে পারেন জানুন তার উপায়-
১. ঘুমানোর আগে ঠোঁট থেকে লিপস্টিক বা লিপগ্লস মুছে ফেলুন। এসব পণ্যে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। রাতভর লিপস্টিক ঠোঁটে থাকলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ঠোঁটে কালচেভাবও দেখা দিতে পারে এই কারণে।

২. হালকা স্ক্রাব করুন। এতে ঠোঁটের মৃত ত্বক সহজে অপসারণ হয়ে যাবে। মধু আর চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁট মসৃণ হবে।

৩. ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পুষ্টিকর একটি লিপবাম লাগিয়ে নিন। শিয়া বাটার, নারকেল তেল কিংবা ভিটামিন ই যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে ঘুমের কারণে ঠোঁট ফাটার আশঙ্কা কমে।

৪. বাতাসে আর্দ্রতা ঠোঁটের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ঘরের পরিবেশ যদি খুব বেশি গরম হয় কিংবা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত। এতে বাতাসে আর্দ্রতা ঠিক থাকে এবং ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক হয় না।

৫. ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকলে ঠোঁট ও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। আর পানি পান করলে শরীর হাইড্রেট থাকবে।

৬. বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজানোর অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। লালা ঠোঁটকে সাময়িকভাবে ভিজিয়ে রাখে বলে মনে হতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ঠোঁটকে দ্রুত শুকিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। এই অভ্যাস ঠোঁটকে আরও শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে।

৭. বালিশের কভার বা কুশনের কভার যেন পরিষ্কার হয় তা নিশ্চিত করুন। নয়তো সারা রাত ধরে এসব স্থানে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। যা ঠোঁট-সহ মুখের ত্বকে সংক্রমণ বা জ্বালা তৈরি করতে পারে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৮, ২০২৫)