গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজা উপত্যকায় আবারও ‘শক্তিশালী’ হামলা চালাতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এতে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
এতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শের পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজায় অবিলম্বে ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’ তবে কখন ও কোথায় হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বিবৃতিতে কিছু বলেনি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী সোমবার (২৮ অক্টোবর) একজন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের অভিযোগ, মরদেহটি দুই বছর আগে উদ্ধার করা একজন অপহৃত ব্যক্তির। মরদেহের অংশবিশেষ ইসরায়েলি বাহিনী ২০২৩ সালের শেষ দিকে উদ্ধার করেছিল। যে ১৩ জন জিম্মির মরদেহ এখনও হামাসের হাতে, তাদের কারও মরদেহ এটা নয়।
অপরদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় সকালে পাওয়া একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর স্থগিত করছে তারা।
এক বিবৃতিতে কাসেম ব্রিগেড বলেছে, ইসরায়েলের যে কোনো ধরনের তৎপরতা জিম্মিদের মরদেহ খোঁজা, খনন করা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করবে। এতে মরদেহ খুঁজে বের করতে দেরি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৯ অক্টোবর মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। পরদিন ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সেদিন গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে প্রায় ১২শ মানুষকে হত্যা করে ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। এরপর গাজায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েল। দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় ৬৮ হাজার ৫শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়।
(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৯, ২০২৫)
