স্পোর্টস ডেস্ক : ঐতিহাসিক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে নারী ফুটবল ও নারী হকি দলকে আর্থিক পুরস্কার দিতে যাচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আজ (বুধবার) সকালে ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দুই দলের হাতে চেক হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম।

গত ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ঋতুপর্ণা–আফিদারা। সেই ঐতিহাসিক অর্জনের পর ৭ জুলাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নারী ফুটবল দলকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

একই মাসে চীনের দাহজুতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৮ এশিয়া কাপ হকির নারী বিভাগে প্রথমবার অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী হকি দল। তাদের জন্য উপদেষ্টা ঘোষণা করেছিলেন ২১ লাখ টাকার পুরস্কার।

কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের উপদেষ্টা মহোদয় নারী ফুটবল দলকে ৫০ লাখ ও নারী হকি দলকে ২১ লাখ টাকার চেক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আগামীকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে সেই চেক হস্তান্তর করা হবে। অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি ও হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।”

থাইল্যান্ডে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছে নারী ফুটবল দল। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর তারা অবশেষে প্রতিশ্রুত পুরস্কার পাচ্ছে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের মাধ্যমে চেক হস্তান্তর করা হবে। এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতিমধ্যে বাফুফের কাছে পাঠিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। সেখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ফেডারেশনের পাঁচ কর্মকর্তা ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নারী ফুটবল দলের জন্য এটি প্রথমবার নয়। ২০২২ সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দেশে ফিরে সাবিনা–সাথীরা পেয়েছিলেন এক কোটি টাকার পুরস্কার। তখনও পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, এবং সেটি এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছিল।

তবে বাফুফের ঘোষিত পুরস্কারের ক্ষেত্রে চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেড় কোটি টাকার বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও এক বছর পেরিয়ে গেছে, এখনো ফুটবলাররা সেই টাকা পাননি। নির্বাহী কমিটির একাধিক সভায় বিষয়টি আলোচিত হলেও অগ্রগতি হয়নি।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঐতিহাসিক যোগ্যতা অর্জনের পরও বাফুফে কোনো আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেনি, শুধু হাতিরঝিলে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দিয়েই শেষ হয়েছে আয়োজন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৯, ২০২৫)