স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা টাইগারদের ১৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে ক্যারিবিয়ানরা।

বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে হতাশ করেন ওপেনার সাইফ হাসান, মাত্র ৫ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে বিদায় নেন তিনি। তবে অপরপ্রান্তে দারুণ দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তরুণ তানজিদ হাসান। ৪৮ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে তিনি মারেন ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। দলকে জয়ের পথে রাখার লড়াইয়ে তিনিই ছিলেন ভরসার প্রতীক।

অধিনায়ক লিটন দাসও দেখিয়েছেন আক্রমণাত্মক মানসিকতা। মাত্র ১৭ বলে ২৩ রান করে আকিল হোসেইনের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর তাওহীদ হৃদয় (১২) ও জাকের আলি (১৭) কিছুটা চেষ্টা করলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

শেষ দিকে শামীম হোসেন (১) দ্রুত আউট হলে আসেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। রিশাদ আকিলের বলে উইকেট খোয়ালে নাসুম ও সাকিব চেষ্টা করেন। তবে তাদের চেষ্টা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামতে হয় লিটন দাসদের। উইন্ডিজরা জয় পায় ১৪ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও ও আকিল বল হাতে সফলতা দেখিয়েছেন। তারা উভয়ই নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া জেসন হোল্ডার পেয়েছেন ২টি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্যারিবীয়রা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে তারা।

ইনিংসের শুরুতেই দলকে হতাশ করেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। মাত্র ৪ বলে ১ রান করে বিদায় নেন তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে। এরপর ইনিংস সামলে নেন দুই ব্যাটার অ্যালিক অথানাজে ও শাই হোপ। দুজনই দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান।

অথানাজে খেলেছেন ৩৩ বলে ঝোড়ো ৫২ রান, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক শাই হোপ খেলেছেন ৩৬ বলে ৫৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা।

তবে এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফেন রাদারফোর্ড ০, রোভম্যান পাওয়েল ৩ এবং জেসন হোল্ডার ৪, খারি পিয়েরে ০ রানে বিদায় হন। চেস ১৭ রান করে শেষ মুহূর্তে দলে অবদান রাখেন। আকিল হোসেইন রানআউট হলেও তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। তারা দুজনই এক ওভারের মধ্যে নিজেদের দুই উইকেট তুলেছেন। তাসকিন একমাত্র উইকেট নিয়েছেন উইন্ডিজ ওপেনার কিংয়ের।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ৩০, ২০২৫)