স্টাফ রিপোর্টার : ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি এ পদক্ষেপকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত না করার ‘অপচেষ্টা’ হিসেবে দেখছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।

স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত নেতারা মনে করছেন, ঐকমত্য কমিশন, সরকার ও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল একই পক্ষ। বিএনপি সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও কমিশনের সুপারিশে তাদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে, ‘নোট অব ডিসেন্ট’ সনদে লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিএনপি বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

সভা সূত্রে বলা হয়, একজন সদস্য গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের জারি করা লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও) এবং আয়ুব খানের বেসিক ডেমোক্রেসির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি মনে করেন, কমিশনের সুপারিশে দুটি দলের প্রস্তাব এবং কমিশনের ভাবনাকে জাতির ওপর চাপানো হয়েছে।

সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ৩০, ২০২৫)