জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম : “আমি ও আমার পরিবার গত ১০ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছি। শুধুমাত্র ভিন্নমতের কারণেই আমাদের বারবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে"। আজ মঙ্গলবার একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নবঘোষিত সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী সৈয়দ ইমরান।

তিনি বলেন, “একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে গায়েবি মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে হত্যা মামলার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। অথচ আমার বিরুদ্ধে পারিবারিক জায়গা-জমির বিরোধে করা মামলা ছাড়া কর্ণফুলী থানায় অন্য কোনো অভিযোগ নেই।”

ইমরান আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ ছড়িয়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। একটি কুচক্রিমহল আমাকে দলীয় পদ পাওয়া থেকে বিরত রাখতে চায়—যারা অতীতে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে এলাকায় পরিচিত বেশ। কিন্তু এসব অপচেষ্টায় আমি বা আমার পরিবার দমে যাইনি, ন্যায়ের পথে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।”

তিনি দাবি করেন, “আমাদের পরিবারের পৈতৃক বাড়িঘর বহু বছর আগে একটি আওয়ামী দখলদার চক্র জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এলাকাবাসীও জানে—আমরা বরাবরই নির্যাতনের শিকার, নির্যাতনকারী নই।”

ইমরান বলেন, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতের অমিলের কারণে কারও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। আইনি ও গণতান্ত্রিক উপায়ে আমরা এই অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সত্যের জয় হবেই, জনগণই হবে চূড়ান্ত বিজয়ী।”

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “দলের আস্থা ও দায়িত্বের মর্যাদা রক্ষা করে আমি সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাব।”

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে ৩৭ সদস্যের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আকতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত এ কমিটিকে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিন মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

ঘোষিত কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুহাম্মদ হাসান আলী। যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. মিরাজ মিয়া, সৈয়দ ইমরান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, মাহবুবে আবেদীর, প্রফেসর ড. মহিউদ্দীন, সিফাত হোসাইন, মো. মাশফিকুর রহমান চৌধুরী মিশকাত, উম্মে হানি জেরিন, প্রকৌশলী মো. হাবিব উল্লাহ ও আবদুল্লাহ আর হাসান। এছাড়া ২৬ জনকে সদস্য করা হয়েছে এ সমন্বয় কমিটিতে।

(জেজে/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০২৫)