লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও মেঘনা নদীর তীর ঘেসে বেড়ীবাঁধ এলাকার কৃষকদের পাকা সয়াবিন ও ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৪টায় থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরঝালিয়া, চরইন্দ্ররিয়া, চরঘাসিয়া, চরপাঙ্গাসিয়া, চরবংশী, চরআবাবিল ও চরমহোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরির্দশন করেন। উপজেলার ৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, বিকেল ৪টার পর থেকে রাত ১১ পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এতে ইউনিয়নের মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এছাড়াও বেড়িবাঁধ ও নিম্নাঞ্চাল এলাকার অসংখ্য গাছ-পালা উপড়ে পড়ে। উপজেলার মোল্লার হাট এলাকার জাকির হোসেন মোল্লা ও ব্যবসায়ী বাবুল মোল্লা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে এলকেএইচ উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয় ও মোল্লাকান্দি জামে মসজিদ এবং চরকাছিয়া, চরঝালিয়া, চরইন্দ্ররিয়া, চরঘাসিয়া, চরপাঙ্গাসিয়া, চরবংশী, চরআবাবিল ও চরমহোনা গ্রামের বসত ঘরসহ শতাধিক ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে এবং চরাঞ্চল এলাকার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির পাকা সয়াবিন ও ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মোল্লার হাট এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়া গত দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে কিছু ঘর বিধ্বস্ত ও ফসল ক্ষতি হওয়ার কথা শুনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের এমপি মোহাম্মদ নোমান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার কবলে চরঅঞ্চলের শতাধিক ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত ও ফসল ক্ষতি হওয়ার কথা আমাকে অনেকই জানিয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্থতের তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। (এম আর এস/এলএস/মে ০৪, ২০১৪)