বিনোদন ডেস্ক : ছোটপর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে নিয়ে তৈরি তুমুল হয়েছে বিতর্ক ও সমালোচনা। ‘এ্যাপোনিয়া’ নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন পেজ থেকে ২৮ হাজার ৮শ টাকার মূল্যের একটি শাড়ি নিয়ে প্রমোশন, মূল্য পরিশোধ না করে একপর্যায়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন ফ্যাশন পেজটির কর্ণধার এক নারী উদ্যোক্তা।

বিষয়টি নিয়ে তিশা তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ওই শাড়িটি নাকি উপহার দিয়েছেন নারী উদ্যোক্তা। এরপর প্রতারণা, মানহানিকর কথা ও ছলচাতুরীর অভিযোগ এবং এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে তানজিন তিশা (তানজিন নাহার তিশা)কে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন ‘এ্যাপোনিয়া’ অনলাইন ফ্যাশন পেজের এক্সিকিউটিভ মো: আমিনুল ইসলামের পক্ষে বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার। গত ২২ অক্টোবর তানজিন তিশার বাসায় ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ।

আইনি নোটিশে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ওই নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে মিথ্যাচার করার জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয় তিশাকে। কিন্তু আইনি নোটিশে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই তারকা অভিনেত্রী।

এবার প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে তিশার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এ্যাপোনিয়া কর্তপক্ষ। বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৮নম্বর কোর্টে ৪২০/৪০৬ ধারায় প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন এ্যাপোনিয়ার এক্সিকিউটিভ মো: আমিনুল ইসলাম। সি. আর মামলা নম্বর ৯৬২/২০২৫।

মামলায় দন্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আসামীর প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ চাওয়া হলে ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত তিশার বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে বাদী পক্ষের আইনজীবি সলিমুল্লাহ সরকার বলেন, তানজিন তিশার মতো সেলিব্রিটি একজন নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে যে ধরনের প্রতারণা করেছেন তা কাম্য নয়। উনি চাইলেই বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন, কিন্তু সেটা না করে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। একজন নারী উদ্যোক্তাকে যেখানে উনার পেট্রোনাইজ করার কথা, সেখানে তিনি করলেন প্রতারণা। এ জন্য তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো জবাব তিনি দেননি। তাই আমার ময়াক্কেল তিশার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন।

এ্যাপোনিয়া অনলাইন ফ্যাশনের কর্ণধার ঝিনুক বলেন, যেকোনো পেশারই একটা এথিক্স থাকে। এথিক্স অনুযায়ী কাজ না করলে সেই পেশার সম্মান আর থাকে না। শিল্পীরাতো পানির মতো সহজ সরল হয়। শিল্পীরা মানুষের জন্য কাজ করেন। তাদেরকে মানুষ ফলো করেন। কিন্তু শিল্পী যদি প্রতারণা করেন, মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেন সেটা আসলে দুঃখজনক। যেহেতু বিষয়টি মামলায় গড়িয়েছে। আমি আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমার বিশ্বাস আমি ন্যায় বিচার পাব।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ০৬, ২০২৫)