মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে বিদ্যুৎ অফিসের পুকুরে আবারও গুইসাপ মারা যাবার ঘটনা ঘটেছে। এবার পুকুরে ৬টি গুইসাপ মৃত অবস্থায় দেখা যায়। কয়েকদিন ধরে ভেসে উঠা গুইসাপগুলো থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হওয়ায় আশেপাশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একই পুকুরে ১০টি গুইসাপ মারা যাই। এমন ঘটনায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুকুরের এক পাশে মৃত গুইসাপগুলোকে দেখা যায়। গুইসাপগুলো থেকে পোকামাকর ও মশা মাছি উড়তেও দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর পৌর শহরের ইটেরপুল এলাকায় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এর পুকুরে অনেক বছর ধরে ছোট-বড় বেশ কিছু গুইসাপ আছে। সাপগুলো আশে পাশের কাউকে কখনও কোন ধরণের ক্ষতি করেনি।

গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়রা দুগন্ধ পায়। এরপর তারা বিদ্যুৎ অফিসের দেয়ালে উঠে দেখে অনেকগুলো গুইসাপ মরে আছে। তা থেকেই গন্ধ ছড়াচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেখে মনে হয় বেশ কয়েকদিন আগেই গুইসাপগুলো মারা গেছে। সাপগুলো বিদ্যুৎ অফিসের পুকুরের এক পাশে পাড়ে ৬টি গুইসাপ মরে পচে আছে। সাপগুলোর গায়ে পোকা ধরেছে, মশা মাছি উড়ছে। এছাড়াও প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এতে করে আশে পাশের লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে করে পরিবেশেও হুমকির মধ্যে পরছে। এর আগেও গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও ১০ গুইসাপের মৃতদেহ একইভাবে পড়ে থাকে এই পুকুরে দেখা যায়। পরে স্থানীয়দের চাপের মুখে বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ থেকে সেগুলো মাটি চাপা দেয়া হয়।

স্থানীয় কামাল হোসেন বলেন, আমরা প্রচন্ড গন্ধের জন্য এখানে থাকতে পারছিনা। আমার দুই নাতিতে তার নানা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের ডাইরিয়া হয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে। আমরা বার বার গুইসাপগুলোকে মাটি দেয়ার কথা বললেও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কিছুই করছেনা।

নাম না প্রকাশে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, এই পুকুরটিতে ওজোপাডিকো-এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাছ চাষ করে। ঐ মাছগুলো গুইসাপ খেয়ে ফেলে তাই তারা পরিকল্পিভাবেই গুইসাপগুলোকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

মাদারীপুরের ওজোপাডিকোর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে পুকুর পাড়ের একটি গাছ পানিতে পরে যায়। এতে করে গাছের সাথে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুইসাপগুলো মারা গেছে। তাছাড়া ইতিমধ্যেই মৃত গুইসাপগুলোকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

(এএসএ/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০২৫)